মহিউদ্দিনের স্ত্রীকে মঞ্চ থেকে নামানোর যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন নাসির
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-১০-২৮ ১৭:০৮:৫২
চট্টগ্রামের প্রয়াত সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনকে সম্মেলন মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
আজ সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘আমি মেয়রকে জিজ্ঞাসা করেছি, তার যে বক্তব্য সেটা হচ্ছে- ওখানে হোস্ট (আয়োজক) তিনটি জেলা, মহানগর এবং চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ। এই তিন জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকেরা বৈঠক করে মঞ্চে কারা কারা বসবেন এবং কোন ক্যাটাগরিতে বসবেন, সেটা নির্ধারণ করেছে। তাদের সেই নির্ধারিত ক্যাটাগরিতে তিনি (হাসিনা মহিউদ্দিন) ছিলেন না। তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের নগরের প্রেসিডেন্ট। এই ক্যাটাগরির কেউ বসেনি। সেকথা মেয়রের বক্তব্য।’
‘কিন্তু আমি যদি জানতাম, তাহলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী হিসেবে আমি তাকে সম্মানটা দিতাম। আমি জানতাম না। তিনি মঞ্চে বসতে চাইলে অবশ্যই তাকে আমি অ্যালাও করতাম। বিষয়টি আমার নলেজে ছিল না,’ যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
চট্টগ্রামের দি কিং অব চিটাগং কমিউনিটি সেন্টারে গতকাল রোববার আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন নেতাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। হাসিনা মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম-৯ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের মা।
‘চট্টলার বীর’ খ্যাত মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রীকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগসহ সাধারণ মানুষের মধ্যেও সমালোচনার তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ নেতারা হাসিনা মহিউদ্দিনকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন বলে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম গেলেও মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে একবার পা রাখেন, সেই পরিবারের সদস্যকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া ধৃষ্টতা।
বিষয়টি নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়ক ভবনে একটা প্রোগ্রাম ছিল, সেখান থেকে আমি প্রতিনিধি সম্মেলনে যখন যোগ দিয়েছি আনুমানিক সাড়ে ১২টা। ওখানে কোনো কমোশন (গোলমাল) আমি দেখিনি এবং এ ধরনের কোনো ঘটনা কেউ আমাকে জানায়নি। আমি ঢাকার পথে যখন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে যাই, তখন ওই বিষয়টা একজন আমাকে জানালো। কিন্তু ওখানে কেউ এ বিষয়ে আমাকে কিছু বলেনি এবং কোনো অভিযোগও কোনো পক্ষ থেকে আসেনি।’
সানবিডি/ঢাকা/এসএস