আদালতের মাধ্যমে জিপি-রবির পাওনার সমাধান : অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৯-১০-৩১ ০৬:৪২:৫৮
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, দেশের দুই শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন (জিপি) ও রবি’র পাওনা নিয়ে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সঙ্গে বিরোধের সমাধান আদালতের মাধ্যমে সমাধান হবে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণফোন ও রবির সঙ্গে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ও বিটিআরসি চেয়ারম্যানের কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। তাদের বকেয়া টাকার কথা বলা হয়েছিল। টাকা পরিশোধ না করায় পরে আর আলোচনা এগোয়নি। তবে এর আগেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এসব বিষয় যখন আদালতে চলে যায়, তখন আর অন্যভাবে নিষ্পত্তি বা সুরাহার পথ থাকে না। এখন আদালতের মাধ্যমেই বিষয়টি সুরাহা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সার্বিক বিবেচনায় সরকার ভেবেছে, তাদের যে সময় দেওয়া হয়েছে, সে সময়ে বিষয়টা নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। কিন্তু সেসব কিছুই হয়নি। তারা কমপ্লায়েন্সও নিতে পারেনি। তবে আশা করি কিছু না কিছু ডেফিনেটলি হবে। বিষয়টি যেহেতু আদালতে আছে, তাই এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না। আদালত যা বলবেন, সেটা তাদেরও মানতে হবে, আমাদেরও মানতে হবে।
প্রশাসক বসানোর যে সিদ্ধান্ত ছিল, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মুস্তফা কামাল বলেন, দুই পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য হয় মধ্যস্ততা করতে হয়, নয়তো আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়। এটা ১০/২০ টাকার বিষয় নয়। আমাদের দাবি আর তাদের হিসাবের পার্থক্য অনেক। ছোট অঙ্কের পার্থক্য হলে নিজেরাই বসে সুরাহা করতে পারতাম।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, তারাও (মোবাইল অপারেটর) বিষয়টি কোর্টের মাধ্যমে সুরাহা চায়। তবে এসব ক্ষেত্রে বারবার কোর্টে না গিয়ে কোর্টের বাইরে সমাধান হওয়া উচিত। তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আর আমরা সরকার। আমরা যেভাবে এগিয়ে এসেছিলাম, সরকারি মনোভাব দেখাইনি, আন্তরিকভাবে এগিয়ে গিয়েছিলাম। তবে আমরা ফিরতি সে ধরনের সহযোগিতা পাইনি। অনেক দিন অপেক্ষা করা হয়েছে, কিন্তু টাকা দেবে টাকা দেবে করে তারা টাকা দেয়নি। আমাদের যে পাওনা আছে, টাকা না দিলে কী নিয়ে আলোচনা করব। যদি টাকা কিছু দিত, তাহলে বুঝতাম আন্তরিকতা আছে।