বিডি অটোকার্সের বোনাস লভ্যাংশ বন্ধ করলো বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৯-১১-২৫ ১৮:৩০:২৫


সিকিউরিটিজ আইন লঙ্গণ করে লভ্যাংশ ঘোষণা করায় বিডি অটোকার্সের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্তে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটির বোনাস শেয়ার বিও হিসেবে ক্রেডিট না করতে সিডিবিএলকে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্র মতে, গত ২০ অক্টোবর কোম্পানির পর্ষদ সভায় ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৫৩ টাকা। ডিএসইতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে এ কোম্পানিটি শুধুমাত্র গত বছর ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এছাড়া সব সময় তারা বিনিয়োকারীদের লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস দিয়ে আসছে। সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী এমনটি করা বৈধ নয়।

বিষয়টি ডিএসইতে প্রকাশ করা হলে দেশের অন্যতম বিজনেস নিউজ পোর্টাল সানবিডি২৪.কমের পক্ষ থেকে ডিএসইর নজরে আনা হয়। পরে পুন্জিভূত লোকসানের তথ্য চাওয়া হয় কোম্পানির কাছে। পরবর্তীতে এই ব্যাখ্যা প্রকাশ করা হয় ডিএসইর ওয়েবসাইডে। এতে বলা হয়েছে ৩০ জুন,২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির পুন্জিভূত লোকসান দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

এ নিয়ে নিউজও প্রকাশ করে সানবিডি২৪.কম। আইন ভেঙ্গে লভ্যাংশ ঘোষণা বিডি অটোকার্সের!

তবে আইন ভঙ্গ হলে কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশসনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে। বিষয়টি বিএসইসির নজরে আসলে সিডিবিএলকে বোনাস শেয়ার ক্রেডিট না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সূত্র মতে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট একটি নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে কোন প্রতিষ্ঠানের পুন্জিবুত (রিটেইন আর্নিং) লোকসান থাকলে সেই কোম্পানি লভ্যাংশ দিতে পারবে না। এটিকে আরও পরিস্কার করার জন্য গত ২ অক্টোবর একটি নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজারের স্বার্থে তালিকাভুক্ত কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা ও বিতরণ সংক্রান্ত একটি নোটিফিকেশন ২০১৮ সালের ২০ জুন প্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে বোনাস শেয়ার সংক্রান্ত আরও একটি নোটিফিকেশন চলতি বছরের ২৩ মে প্রকাশ করে। বিষয়টি বিনিয়োগকারী ও কোম্পানির আবেদন পর্যালোচনা পূর্বক বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজারের স্বার্থে অধিকতর স্পষ্ট করার প্রয়োজনে নগদ লভ্যাংশ সংক্রান্ত ব্যাখ্যা দেয় বিএসইসি।

ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে‘অন্যান্য সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করে, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহ পুঞ্জিভূত লোকসান বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট বছরের অর্জিত মুনাফা হতে নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ, ঘোষণা ও বিতরণ করতে পারবে।’

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মো. সাইফুর রহমান সানবিডিকে বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করে বিএসইসি। কোন প্রতিষ্ঠান যদি আইন ভঙ্গ করে কোন কিছু করে, তাহলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে কমিশন।