কালিমা ও তার তাৎপর্য

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-১১-১৪ ১৮:৩৫:৩৮


এই কালিমায়ে তাইয়্যিবাহ্‌–ই হল ইসলামের প্রবেশদ্বার। ঈমান ইসলামের বিশাল বৃক্ষের শেকড় এবং আকাশ ছোঁয়া ভবনের মূলভিত্তি। এটাকে গ্রহণ করে এবং দৃঢ় বিশ্বাসে পাঠ করে পুরো জীবনের কাফির-মুশরিকও মুমিন-মুসলমান এবং মুক্তি ও সফলতার যোগ্য বনে যায়।

আরবি : لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ
উচ্চারণ:  লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।
বাংলা অর্থ ঃ আল্লাহ এক আর কোন মাবুদ নেই। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল।

কিন্তু শর্ত হলো, এই কালিমাতে আল্লাহ্‌ তা’আলার তাওহীদ বা একত্ববাদ এবং হযরত মুহাম্মাদ ﷺ-এর নবুওয়াত-রিসালাতের যে স্বীকারোক্তি রয়েছে, এটাকে বুঝে-শুনে মানতে হবে ও গ্রহণ করতে হবে। যদি কেউ ‘একত্ববাদ’ ও ‘রিসালাত’-কে না বুঝে এর মানে-মতলব অনুধাবন না করে শুধু গড়গড় করে মৌখিক পাঠ করে নেয়, তবে সে আল্লাহ্‌ তা’আলার কাছে মুমিন-মুসলমান হিসেবে স্বীকৃতি পাবে না। সুতরাং পূর্বশর্ত হলো, আমাদেরকে প্রথমে এই পবিত্র কালিমার অন্তর্নিহিত মর্মবাণী বুঝার চেষ্টা করতে করতে হবে।
এই পবিত্র কালিমাটির দুটো অংশ রয়েছে।
কালিমার প্রথম অংশ
لَا إِلٰهَ إِلَّا الله
“আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন ইলাহ্‌ (উপাস্য) নেই।”
এই অংশে আল্লাহ্‌ তা’আলার তাওহিদ বা একত্ববাদের স্বীকারোক্তি ঘোষণা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে যে, আল্লাহ্‌ তা’আলা ছাড়া এমন আর কোন সত্তা নেই, যিনি ইবাদত বা উপাসনা, বন্দেগী বা দাসত্ব পাওয়ার যোগ্য। কেননা তিনিই আমাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা ও প্রভু। তিনিই প্রতিপালক, তিনিই জীবিকা দানকারী। তিনিই মৃত্যুদাতা, তিনিই জীবনদাতা। সুস্থতা-অসুস্থতা, দারিদ্র-সচ্ছলতা, ভালো-মন্দ, কল্যাণ-অকল্যাণ সবকিছু একমাত্র তাঁরই ক্ষমতার কব্জায়।
আসমান-যমীনে তিনি ছাড়া সবাই — চাই সে মানুষ হোক বা ফেরেশতা — তাঁরই সৃষ্টজীব এবং তাঁরই গোলাম। তাঁর সৃষ্টিকাজে তাঁর সাথে কোন সাহায্যকারী ও অংশীদার নেই। তাঁর নির্দেশনাবলীকে ওলট-পালট করে দেয়ার ক্ষমতা কারো নেই। না তাঁর কাজে নাক গলানোর স্পর্ধাও কারো আছে। সুতরাং তিনি তো তিনিই। শুধু তাঁরই ইবাদত করা যায়। তাঁর সাথেই সম্পর্ক জুড়া যায়। দুঃখ-দুর্দশায় বা যে কোন প্রয়োজনে তাঁর কাছেই কেঁদে-কেঁদে হাত পাতা যায়। বুকভরা আশা নিয়ে ভিক্ষুক বেশে চাওয়া যায়।
তিনি তো রাজাধিরাজ। অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ সত্তা। তিনি সব বাদশাহ্‌দের বাদশাহ্‌। দুনিয়ার সব বিচারকদের উর্ধ্বে মহাবিচারপতি। সুতরাং এমন সত্তারই নির্দেশনাবলী মেনে চলা জরুরী। পূর্ণ আনুগত্যের সাথে তাঁর নির্দেশের অনুকরণ করা উচিত। তাঁর নির্দেশনাবলীর বিপরীতে অন্য কারো আইন কখনো মেনে নেয়া যায় না। চাই তিনি রাষ্ট্রপতি হোন বা কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি হোন, যদিও তিনি পিতা হোন বা বংশের চৌধুরী হোন, চাই তিনি কোন প্রিয়তম বন্ধু হোন অথবা হোক না তা নিজ প্রবৃত্তির একান্ত চাহিদা।
মোটকথা, আমরা যখন জেনে-শুনে মেনে নিয়েছি যে, এক আল্লাহ্‌ তা’আলাই ইবাদত-বন্দেগী লাভের উপযুক্ত, আমরা শুধুমাত্র তাঁরই গোলাম। সুতরাং আমাদের আমল বা কাজ-কর্মও সে মোতাবেক হওয়া উচিত। দুনিয়াবাসীরা আমাদেরকে দেখেই যেন বুঝে ফেলে যে, এরা শুধু আল্লাহ্‌রই গোলাম। এরা শুধু আল্লাহ্‌র আইনই মেনে চলে। আল্লাহ্‌র জন্যই বেঁচে থাকে। আল্লাহ্‌র জন্যি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে। অতএব,
لَا إِلٰهَ إِلَّا الله — হোক আমাদের শপথ ও ঘোষণা।
لَا إِلٰهَ إِلَّا الله — হোক আমাদের বিশ্বাস ও ঈমান।
لَا إِلٰهَ إِلَّا الله — হোক আমাদের কর্মোদ্দীপনা ও মর্যাদা।
এই لَا إِلٰهَ إِلَّا الله দ্বীনী ভিত্তিমূলের প্রথম ইট। সকল নবির শেখানো সর্বপ্রথম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সবক। দ্বীনের সব বিষয়ে এর মর্যাদা সর্বোচ্চে। প্রিয় নবির ﷺ বিখ্যাত হাদিস — তিনি ইরশাদ করেন –
ঈমানের সত্তরোর্ধ শাখা রয়েছে। তন্মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও উন্নত শাখা হলো — لَا إِلٰهَ إِلَّا الله — এর স্বীকারোক্তি। (বুখারী, মুসলিম)
এজন্যই তো যিক্‌র সমূহের মধ্যে উত্তম হলো — لَا إِلٰهَ إِلَّا الله -এর যিক্‌র। যেমন অন্য এক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে –
اَفْضَلُ الذِّكْرِ لَا إِلٰهَ إِلَّا الله
যিকির সমূহের মধ্যে উত্তম ও উন্নত যিক্‌র হলো لَا إِلٰهَ إِلَّا الله — এর যিক্‌র। (ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)
অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ্‌ তা’আলা হযরত মূসা আলাইহিস সালামের এক প্রশ্নের জবাবে ইরশাদ করেন –

হে মুসা! যদি সাত আকাশ ও সাত যমীন এবং এসবের মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছুকে এক পাল্লায় রাখা হয় আর لَا إِلٰهَ إِلَّا الله অন্য পাল্লায়, তবে لَا إِلٰهَ إِلَّا الله -এর পাল্লাই ভারি প্রমাণিত হবে। (শরহুস্‌ সুন্নাহ্‌)
لَا إِلٰهَ إِلَّا الله -এর মর্যাদা ও ফযিলত এজন্য যে, এতে রয়েছে আল্লাহ্‌ তা’আলার তাওহিদ বা একত্ববাদের শপথ ও স্বীকারোক্তি, শুধু তাঁরই ইবাদত-বন্দেগী করার, তাঁরই বিধান মেনে চলার, তাঁকেই নিজের উদ্দেশ্য-লক্ষ্য নির্ধারণ করার এবং একমাত্র তাঁর সাথেই সম্পর্ক জুড়ার সিদ্ধান্ত ও অঙ্গীকার এতে প্রকাশ পায়। এটাই ঈমান ও ইসলামের রূহ। এজন্যই নবীজী মুসলমানদেরকে নির্দেশ করেছেন যে, لَا إِلٰهَ إِلَّا الله — এই কালিমাটি বেশি বেশি পড়ে নিজেদের ঈমান তাজা কর। বিখ্যাত একটি হাদীস, একদিন প্রিয় নবীﷺ ইরশাদ করেন –
“লোকসকল! নিজেদের ঈমান তাজা করতে থাক।” — সাহাবীদের মধ্য হতে একজন জিজ্ঞেস করলেন — “হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমরা কিভাবে আমাদের ঈমান তাজা করবো?” প্রিয় নবীﷺ জবাবে ইরশাদ করেন, “لَا إِلٰهَ إِلَّا الله বেশি করে পাঠ কর।” (মুসনাদে আহ্‌মাদ, জামউল ফাওয়াইদ)
لَا إِلٰهَ إِلَّا الله পাঠে ঈমান তাজা হয়, কেননা এতে আল্লাহ্‌র তাওহিদ অর্থাৎ শুধু তাঁরই ইবাদত-উপাসনা, একমাত্র তাঁরই প্রেম-ভালোবাসা এবং একমাত্র তাঁরই আনুগত্যের শপথ ও স্বীকারোক্তি নিহিত রয়েছে। আর যেমন পূর্বে বলা হয়েছে যে, এটাই তো ঈমানের প্রাণ। সুতরাং যতই আমরা বুঝে-বুঝে এবং ধ্যানের সাথে এ কালিমা পাঠ করবো, নিঃসন্দেহে ততই আমাদের ঈমান তাজা হবে, ততই আমাদের অঙ্গীকার পাকাপোক্ত হবে। ধীরে ধীরে ইনশাআল্লাহ এই لَا إِلٰهَ إِلَّا الله আমাদের আমলে ও কাজে-কর্মে ফুটে উঠবে এবং আমাদের জীবন হয়ে উঠবে لَا إِلٰهَ إِلَّا الله-এর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।
আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত — আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর নির্দেশ অনুযায়ী এই কালিমাটি ধ্যান ও একাগ্রতার সাথে মনোযোগ সহকারে বেশি বেশি পাঠ করব। ফলে আমাদের ঈমান তাজা হতে থাকবে এবং সেই لَا إِلٰهَ إِلَّا الله -এর সাঁচেই আমাদের জীবন গড়ে উঠবে। এতো হলো কালিমর প্রথম অংশ অর্থাৎ لَا إِلٰهَ إِلَّا الله-এর বয়ান।
কালিমার দ্বিতীয় অংশ
مُحَمَّدٌ رَسُولُ الله

“মুহাম্মাদ ﷺ আল্লাহ্‌ তা’আলার রাসূল”
এতে মুহাম্মাদ ﷺ-এর রিসালাতের স্বীকারোক্তি ও ঘোষণা উচ্চারিত হয়েছে। মুহাম্মাদ ﷺ আল্লাহ্‌ তা’আলার রাসূল হওয়ার অর্থ হলো, তিনি যা কিছু দুনিয়াবাসীকে জানিয়েছেন, সবই আল্লাহ্‌ তা’আলার পক্ষ থেকে সন্দেহমুক্ত জ্ঞান লাভ করার পরই বলেছেন।

এর সবকিছুই সঠিক, নির্ভুল ও সত্য। তাতে কোন ধরনের কোন সন্দেহের অবকাশ মাত্র নেই। তিনি বিশ্বের জনমণ্ডলীকে যে হিদায়াতের পথ প্রদর্শন করেছেন, তাদের জন্য যেসব বিধান প্রবর্তন করেছেন, মূলত সে সবই মহান আল্লাহ্‌ তা’আলার হিদায়াত ও বিধান। তাঁর প্রতি ওহী প্রেরণ করা হয়েছে।

অর্থাৎ বুঝা গেল যে, কোন সত্তাকে রাসূল হিসেবে মেনে নিলে, আপনা-আপনি এটা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যায় যে, তাঁর সব পথনির্দেশ বা হিদায়াত এবং আদেশ-নিষেধ পরিপূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে। কেননা আল্লাহ্‌ তা’আলা কাউকে এ জন্যই রাসূল মনোনীত করে প্রেরণ করেন যেন তাঁর বান্দাদের প্রতি তাঁর পছন্দনীয় বিধি-বিধান পৌঁছে দিতে পারেন।

কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে –
বস্তুতঃ আমি একমাত্র এই উদ্দেশ্যেই রসূল প্রেরণ করেছি, যাতে আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী তাঁদের আদেশ-নিষেধ মান্য করা হয়। (সূরা নিসা ০৪:৬৪)

রাসূলের প্রতি ঈমান আনা, তাঁকে রাসূল হিসেবে মেনে নেয়ার অর্থই হলো, তাঁর সব কথা সত্য বলে বিশ্বাস করা, তাঁর শিক্ষা ও হিদায়াতকে আল্লাহ্‌র শিক্ষা ও হিদায়াত মনে করা। তাঁর আদেশ মোতাবেক চলার সিদ্ধান্ত নেয়া। অতঃপর যদি কেউ কালিমা তো পড়েছে কিন্তু

নিজের ব্যাপারে এ সিদ্ধান্ত নেয়নি যে, মুহাম্মাদ ﷺ-এর প্রদর্শিত পথই সত্য পথ এবং এর বিপরীত সবই ভুল ও ভ্রান্ত মনে করবো, তাঁর রেখে যাওয়া শরীয়ত ও তার বিধি-বিধান এবং তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলবো — তবে সে ব্যক্তি মূলত মুমিন বা মুসলমানই নয় ; হয়তো সে মুসলমান হওয়ার অর্থই উপলব্ধি করতে পারেনি।

স্পষ্ট কথা হলো — যখন আমরা কালিমা পড়ে প্রিয় নবী ﷺ-কে সত্য রাসূল বলে মেনে নিয়েছি তখন আমাদের জন্য তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে গেছে। এখন তাঁর সব কথাই আমাদেরকে মানতে হবে। তাঁর রেখে যাওয়া শরীয়তের উপর পুরোপুরি আমল করতে হবে।

কালিমায়ে তাইয়্যিবাহ্‌ মূলত একটি অঙ্গীকার, একটি স্বীকারোক্তি। এ কালিমার দুটো অংশের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত যে আলোচনা উপরে বর্ণিত হয়েছে, এ থেকে হয়তো বুঝা গেছে যে, এই কালিমা আসলেই একটি শপথ এবং একটি অঙ্গীকারনামা। তা হলো — আমি শুধুমাত্র আল্লাহ্‌ তা’আলাকেই সত্য ইলাহ, একমাত্র মা’বুদ ও একমাত্র মনিব হিসেবে মানি।

ইহ-পরকালের সব কার্যাবলীর চাবিকাঠি একমাত্র তাঁর হাতেই জানি। সুতরাং আমি তাঁরই ইবাদত-বন্দেগী করব। গোলামকে যেভাবে তার মালিকের কথামতো চলতে হয়, ঠিক সেভাবেই আমি আমার আল্লাহ্‌র হুকুম মোতাবেক চলব। তাঁকে সবচাইতে বেশি ভালবাসব।

তাঁর সাথে গড়ে তুলব গোলামীর সম্পর্ক। হযরত মুহাম্মাদ ﷺ-কে আমি আল্লাহ্‌ তা’আলার সত্য নবী মেনে নিয়েছি। সুতরাং একজন উম্মতের মতো আমি তার পদাংক অনুসরণ করে চলব।

তাঁর নিয়ে আসা শরীয়তের পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুকরণ করব। মূলত এই অঙ্গীকার ও স্বীকারোক্তির নামই হল ঈমান। তাওহিদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য দেয়ার উদ্দেশ্য ও সারকথাও এটাই।
অতএব কালিমা পাঠকারী প্রত্যেক মুসলমানের উচিত, সে যেন নিজেকে সবসময় এ

কালিমার অনুসারী মনে করে। এর মূলনীতির ভিত্তিতেই নিজের জীবন পরিচালনা করে। ফলে সে মহান আল্লাহ্‌ তা’আলার কাছে সত্যিকার একজন মুমিন-মুসলমান হিসেবে পরিগণিত হয় এবং নাজাত ও বেহেশতের অধিকারপ্রাপ্ত হয়। এমন সৌভাগ্যবানদের জন্য অনেক আকর্ষণীয় সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। হযরত আনাস (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ হযরত মায়াজ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) কে ইরশাদ করেন –

যে ব্যক্তি সত্যিকার অর্থে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’-এর সাক্ষ্য প্রদান করবে, এমন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ্‌ তা’আলা জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিয়েছেন। (বুখারী, মুসলিম)

আসুন, আমরা لَا إِلٰهَ إِلَّا الله مُحَمَّدٌ رَسُولُ الله -এর তাৎপর্য ও মর্যাদা উপলব্ধি করে একান্ত মনে তার সাক্ষ্য প্রদান করি। দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করি যে, আমার জীবন কালিমার ঐ শপথই বাস্তবায়ন করব। ফলে আমাদের অঙ্গীকার মিথ্যা প্রতিপন্ন হবে না। কেননা আমাদের সামগ্রিক সফলতা ও মুক্তি এবং আমাদের ঈমান-ইসলামের ভিত্তিই হলো এই কালিমা।
لَا إِلٰهَ إِلَّا الله مُحَمَّدٌ رَسُولُ الله -এর প্রতি আমাদের পাকা ঈমান ও বিশ্বাস স্থাপিত হোক। لَا إِلٰهَ إِلَّا الله مُحَمَّدٌ رَسُولُ الله হোক আমাদের শপথ ও উদাত্ত ঘোষণা। হোক আমাদের জীবনের মূলনীতি। সর্বোপরি এই কালিমাই হোক বিশ্বমানবতার প্রতি আমাদের পয়গাম ও অনন্য তোহ্‌ফা।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস