‘পাকিস্তানের দালাল ছিলেন সাকা-মুজাহিদ’
প্রকাশ: ২০১৫-১১-২৪ ১৬:০৪:৫৩
পাকিস্তান রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়া স্বত্ত্বেও বাংলাদেশ প্রশ্নে বরাবরই বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী আসমা জাহাঙ্গীর। সম্প্রতি পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত হাইকোর্টে সাংবাদিকদের সামনে আবারও বাংলাদেশের পক্ষে কথা বললেন তিনি। বাংলাদেশে দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি হওয়া নিয়ে পাকিস্তান সরকারের আচরণকে ‘উতলা দ্বৈতনীতি’ বলে সমালোচনা করেছেন তিনি। সমালোচনায় তিনি স্পষ্ট করে বলেন, সরকার তার আচরণের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশে ফাঁসি দেওয়া দুইজন আসলে ছিল রাজনৈতিক দালাল এবং তারা পাকিস্তানের স্বার্থের জন্যই কাজ করেছিল।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার দুই চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুজাহিদকে যুদ্ধাপরাধের কারণে ফাঁসি দেয়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিত্রে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড দুর্ভাগ্যজনক এভং আমরা তা গভীর উদ্বেগ ও বেদনার সঙ্গে লক্ষ্য করলাম।’ অবশ্য এই বিবৃতির পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানানো হয়।
আসমা জাহাঙ্গীর তার মতামত প্রকাশে আরও বলেন, প্রথমে পাকিস্তানের উচিত অবৈধ বিচারব্যবস্থায় মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিষয়টিকে সামনে আনা। যেখানে সৌদিআরবে অনেক নিরীহ পাকিস্তানীকে বিনা বিচারেই মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই সমস্যার সমাধান করেই তবে পাকিস্তানের উচিত বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের প্রতি অতি আবেগ দেখানো। পাকিস্তান সরকার শুধু এটাই নিশ্চিত করলো যে, ওই দুইজন ছিলেন রাজনৈতিক দালাল, যারা পাকিস্তানের জন্য কাজ করছিল। পাকিস্তানে বসবাসরত মানুষের তুলনায় কি ওই দুই বাংলাদেশি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল? যদি উত্তর হ্যা হয়, তাহলে সরকারের উচিত ব্যাখ্যা করা কেন তারা গুরুত্বপূর্ণ।
তার ভাষ্যে আরও কিছু বিষয় উঠে আসে, ‘পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং যেখানেই অবৈধ বিচারের নামে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়, সেটার বিরোধীতা করি আমরা। আমরা সবাই জানি যে, ওই দুই বাংলাদেশি রাজনীতিবিদের বিচার নিয়ে দ্বিধান্বিত, কিন্তু এবিষয়ে পাকিস্তানের ভূমিকা স্বচ্ছ নয়। পাকিস্তান সরকার যদি মৃত্যুদন্ডের বিরোধী হয় তাহলে তাদের উচিত সেনাবাহিনীর আদালতের দিকে তাকানো যেখানে প্রায়শই এটা হয়ে থাকে।’