৯৪ লাখ বেল ছাড়াবে পাকিস্তানে তুলার উৎপাদন
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-১২-৩০ ০৯:১৩:৫৫
চলতি মৌসুমে পাকিস্তানে তুলার উৎপাদন ৯৪ লাখ বেল (প্রতি বেলে ৪৮০ পাউন্ড) ছাড়াতে পারে। যেখানে প্রাক্কলিত উৎপাদন ধরা হয়েছিল ১ কোটি ২০ লাখ বেল। দেশটির কটন ক্রপ অ্যাসেসমেন্ট কমিটি (সিসিএসি) সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর ডন।
পাকিস্তানের জাতীয় খাদ্যনিরাপত্তা ও গবেষণা-বিষয়ক মন্ত্রী মাখদুম খুশরু বাকহেতারের সভাপতিত্বে চলতি মৌসুমের তুলার উৎপাদন প্রাক্কলন বিষয়ে মূল্যায়ন করতে বৈঠকের আয়োজন করে সিসিএসি। এ বৈঠকের পর সিসিএসি কমিশনার ড. খালিদ আবদুল্লাহ জানান, চলতি উৎপাদন মৌসুমে পাকিস্তানে ৯৪ লাখ ৫১ হাজার বেল তুলা উৎপাদন হতে পারে। এর মধ্যে এ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি তুলা উৎপাদন হতে পারে পাঞ্জাবে, ৬৬ লাখ ৭১ হাজার বেল। এছাড়া সিন্ধুতে উৎপাদন ধরা হয়েছে ২৬ লাখ ৮০ হাজার বেল, আর বেলুচিস্তানে ৯৮ হাজার বেল।
খালিদ আবদুল্লাহর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে দেশটিতে হঠাৎ করে তাপমাত্রা ২ থেকে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। অতি তাপমাত্রার ফলে দেশটির প্রধান প্রধান উৎপাদন অঞ্চলের তুলা গাছের পুষ্টিক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশটির তুলা আবাদের ওপর যা বিরূপ প্রভাব ফেলে। একই সময় সিন্ধু প্রদেশে পানি সংকট দেখা দিয়েছে; ফলে তুলাক্ষেতে সেচের অভাবে এ প্রদেশে আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া এ মৌসুমে পোকার আক্রমণেও পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশে তুলার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
এদিকে দেশটিতে তুলার বাণিজ্য শ্লথগতি থাকার কারণে দাম তেমন ওঠানামা করছে না এবং তুলার বাজার অনেকটা অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে রয়েছে। দেশটিতে তুলার বাণিজ্য শ্লথ হয়ে পড়ার প্রধান কারণ পণ্যটির মান। উন্নত মানের তুলার চাহিদা থাকলেও সে পরিমাণ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। যে কারণে বাণিজ্য কেবল উন্নত মানের তুলাকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হচ্ছে। একই কারণে দেশটির অনেক স্পিনিং কোম্পানি এখন উন্নত মানের তুলা পেতে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে চুক্তি করে রাখছে।