কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা, যা বললেন ট্রাম্প

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০১-০৪ ১৩:৩৩:৩৯


যুদ্ধ থামাতে ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে যুক্তরাষ্ট্র হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, তাকে (কাসেম সোলেইমানি) হত্যা করা হয়েছে ‘যুদ্ধ বন্ধে, আরেকটি (যুদ্ধ) শুরু করতে নয়’। তার মতে, সোলেইমানির ‘সন্ত্রাসের শাসন শেষ’।

নিজের মালিকানাধীন ফ্লোরিডার বিলাসবহুল মার-আ-লাগো রিসোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন। ইরানি কমান্ডারকে হত্যার পর একে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে নতুন যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত হিসেবে মনে করছেন অনেকেই। প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার ভোরে বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসংলগ্ন এলাকায় বিমান হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানায়, প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই ইরানের এ সামরিক কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত ইরানি সামরিক কমান্ডার আমেরিকানদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘সোলেইমানি আমেরিকান কূটনীতিক ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার চক্রান্ত করছিল। কিন্তু আমরা তাকে খতম করে দিয়েছি। যুদ্ধ থামাতে আমরা এ ব্যবস্থা নিয়েছি।’

মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক রাজনীতিতে ইরানের শক্তি বৃদ্ধির প্রধান কারিগর মনে করা হয় জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে। তিনি দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সবচেয়ে প্রভাবশালী কমান্ডার ছিলেন। সিরিয়া ও ইরাকে ইরানের স্বার্থ রক্ষায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। গত অক্টোবরেও তাকে হত্যাচেষ্টা বানচাল করে দেওয়ার দাবি করে তেহরান।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের দাবি, ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মী ও কূটনীতিদের ওপর হামলার সক্রিয় পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। গত সপ্তাহ বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলাও তার নির্দেশেই হয়েছিল। ভবিষ্যতে ইরান যেন আরও হামলার পরিকল্পনা করতে না পারে সেজন্যই সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে সোলেইমানির মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘চরম প্রতিশোধ’ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। এই হত্যার ঘটনার মধ্য দিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর মার্কিন নাগরিকদের দ্রুত ইরাক ত্যাগ করতে সতর্কতা জারি করেছে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস