মাঠ জুড়ে যেন হলুদ কার্পেট বিছানো
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০১-০৪ ১৪:৩০:৫২
দিগন্ত বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে যেন হলুদ কার্পেট বিছানো। চারিদিকে হলুদ আভা। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে শীতের সকালে হলদে সরিষার মন কাড়া রঙ আকৃষ্ট করে যে কাউকে।
জেলার দেবগ্রাম, দৌলতদিয়া, ছোটভাকলা ও উজানচরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষার আবাদ হয়েছে চোখে পড়ার মতো। অল্পকিছু দিনের মধ্যে কৃষকের ঘরে উঠবে বহুল প্রতিক্ষিত সরিষা। পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের ফসলী জমিতে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দে প্রতিবিঘা জমিতে মাঘি সরিষা ৩-৪ মণ এবং বারি সরিষা ৫-৬ মণ পর্যন্ত উৎপাদন হয়। মাঘি সরিষা ৬৫-৭০ দিন এবং বারি সরিষার জাত ৮০-১০০দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়। ঘনকুয়াশা বা আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে
এবার সরিষার ভাল ফলন হবার ব্যাপারে তারা আশাবাদী। এবার দাম ভালো পেলে আগামীতে কৃষকেরা সরিষা চাষে আরও বেশী আগ্রহী হবে। শুধূ বীজ উৎপাদনের জন্য প্রচলিত জাতগুলো থেকেও উন্নত জাতের বেশ কিছু প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে।
দেওয়ান পাড়ার কৃষক আঃ ছাত্তার মোল্লা জানান, এবছর যে পরিমান সরিষার ফলন হয়েছে, তাতে বিঘা প্রতি ৪ মনের উপরে ফলন পাওয়া যাবে। তবে দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া এলাকার কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তেমন কোনো ভূমিকা নেই বলে অভিযোগ রয়েছে ওই এলাকার কৃষকদের। তাদের মতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যদি কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ যথারীতি দেখাশোনা করে তাহলে অনেক অনাবাদি জমিতে আরো বেশি সবজিসহ সরিষা চাষ করা সম্ভব।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা এবং সরিষার ন্যায্যমূল্য পেলে এ অঞ্চেলের কৃষকেরা ধান চাষের পাশাপাশি সরিষা সহ অন্যান্য তৈল বীজ জাতীয় ফসল চাষে আরো বেশি আগ্রহী হবেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিকদার মোঃ মোহায়মেন আক্তার বলেন, এবার মাঘি ও বিভিন্ন ধরনের বারি জাত মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৪৭ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এ উপজেলায় প্রতি বিঘা জমিতে ৫ মন পর্যন্ত সরিষার ফলন হয়। অনুকুল আবহাওয়া থাকলে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা আগামীতে এই অঞ্চলের ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরনের জন্য সরিষার পাশাপাশি তিল, তৃষি সহ অন্যান্য তেল বীজ আবাদের জন্য কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টির উদ্দ্যেগ হাতে নিয়েছি।