বাণিজ্য মেলায় মার্সেলের সাড়ে ৩’শ মডেলের পণ্য

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০১-১৮ ০২:৪৩:১৮


চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৫তম আসর। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেল। মার্সেল প্যাভিলিয়নে প্রদর্শন ও বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিন শতাধিক মডেলের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস। মেলা ও নতুন বছর উপলক্ষ্যে যুক্ত হয়েছে অর্ধ-শতাধিক নতুন মডেলের পণ্য।
এদিকে বাণিজ্য মেলায় মার্সেল প্যাভিলিয়নে সকল পণ্যে ১০ শতাংশ নগদ ছাড় দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিকাশ পেমেন্টে ক্রেতারা পাচ্ছেন অতিরিক্ত ৫ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ১’শ টাকা পর্যন্ত ছাড়। পাশাপাশি একাধিক এসি কিনলে মিলবে ১২ শতাংশ ডিসকাউন্ট। অন্যদিকে, ন্যূনতম ২,০০০ টাকা বুকিং দিয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এসি ক্রয়ে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট পাবেন গ্রাহকরা।
মার্সেল প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম জানান, মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীরা যাতে এক ছাদের নিচেই তাদের দরকারি সব পণ্য দেখতে এবং কিনতে পারেন সেজন্য সাড়ে ৩’শ মডেলের পণ্য এনেছেন তারা। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসব পণ্যের প্রযুক্তি, ডিজাইন ও কালারে আনা হয়েছে নতুনত্ব।
মেলায় মার্সেল প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন পণ্যের আপকামিং মডেলও প্রদর্শন করা হচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে গ্লাস ডোর রেফ্রিজারেটর, ফোর-কে প্রযুক্তির টেলিভিশন, বাংলা ভয়েস কন্ট্রোল এলইডি স্মার্ট টিভি, ক্রিস্টালাইন সিরিজের নতুন এসি, হট প্লেট কুকার, গ্লাস টপ ডাবল বার্নার (এলপিজি ও এনজি) গ্যাস স্টোভ, ইস্ত্রি, মিল্ক প্যান, রিচার্জেবল ল্যাম্প, টর্চ লাইট ও ব্যাটারি।
মার্সেল প্যাভিলিয়নে প্রদর্শন ও বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১০০ মডেলের ফ্রিজ। এর মধ্যে রয়েছে ৭৯ মডেলের ফ্রস্ট বা ডিরেক্ট কুল রেফ্রিজারেটর, ৫ মডেলের ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ১২ মডেলের ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ ও ২ মডেলের বেভারেজ কুলার। মেলা ও নতুন বছর উপলক্ষ্যে সাইড বা সাইড গ্লাস ডোরের ৫৬৩ লিটারের নতুন মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এনেছে মার্সেল। যার দাম পড়বে ৬৪ হাজার ৯’শ টাকা। আরো এসেছে ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটরের নতুন ডিজাইন ও কালারের আপডেট ভার্সন।
মার্সেল ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে আছে ১৩২ লিটার থেকে ৩৬৫ লিটার ধারণক্ষমতার চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের টেম্পারড গ্লাস ডোরের মোট ৩৯ মডেলের রেফ্রিজারেটর। এসব ফ্রিজের দাম পড়বে ১৯ হাজার ৫’শ টাকা থেকে ৪০ হাজার ৩৯০ টাকার মধ্যে। গ্লাস ডোর ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে আছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ৩৬৫ লিটার ও ৩৪৮ লিটার ধারণক্ষমতার ৩ মডেলের রেফ্রিজারেটর। মার্সেল প্যাভিলিয়নে আরো আছে বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ এনার্জি রেটিং ‘ফাইভ স্টার’ সনদপ্রাপ্ত ২৫৪ লিটারের গ্লাস ডোর, ২৫৪ লিটার ও ৩১৭ লিটারের ফ্রস্ট ফ্রিজ।
ফ্রস্ট ফ্রিজের পাশাপাশি মার্সেল প্যাভিলিয়নে প্রদর্শন ও বিক্রি হচ্ছে ৫ মডেলের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজও। এসব ফ্রিজের মধ্যে সাইড বাই সাইড ডোরের ৫৬৩ লিটারের গ্লাস ডোর ইনভার্টার ও ইনভার্টার প্রযুক্তির ২টি মডেল, বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিং ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রস্ট ফ্রিজ, ৪৩০ লিটারের ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রস্ট ফ্রিজ। মার্সেলের এসব ফ্রিজে আলাদাভাবে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না। কম্প্রেসরে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট।
মেলায় মার্সেল এনেছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারসমৃদ্ধ ২২ মডেলের এয়ার কন্ডিশনার। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে মোবাইল ফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ১৮,০০০ বিটিইউ (ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট) বা ১.৫ টন ও ২৪,০০০ বিটিইউ বা ২ টনের স্মার্ট এসি। এসব এসির পাশাপাশি ১, ১.৫ ও ২ টনের রয়েছে আয়োনাইজার প্রযুক্তির এসি। এই প্রযুক্তির এসি রুমের বাতাসকে করবে ধূলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত। মার্সেল এসিতে ফোর-ডি কুলিং প্রযুক্তি সংযোজন করায় রুম ঠান্ডা হয় দ্রুত।
মেলায় আপকামিং মডেল হিসেবে মার্সেল প্রদর্শন করছে ফোর-কে প্রযুক্তির ৫৫ ইঞ্চি বা ১.৩৯৭ মিটারের টেলিভিশন। এছাড়া ‘এন্ড্রয়েড ৭’যুক্ত লেটেস্ট অপারেটিং সিস্টেমের ৯৯১ মিলিমিটার (মিমি) বা ৩৯ ইঞ্চি ও বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষার ভয়েস কন্ট্রোল সমৃদ্ধ ৮১৩ মিমি বা ৩২ ইঞ্চির এলইডি স্মার্ট টিভি প্রদর্শিত ও বিক্রি হচ্ছে মার্সেল প্যাভিলিয়নে। স্মার্ট টিভির পাশাপাশি রয়েছে ১.০৯ মি বা ৪৩ ইঞ্চি, ৩৯ ইঞ্চি, ৩২ ইঞ্চি, ৬১০ মিমি বা ২৪ ইঞ্চির মোট ১০ মডেলের এলইডি টিভি।
ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে মার্সেল। ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্টসহ মার্সেল এসির ইনর্ভার্টার কম্প্রেসরে মিলছে ১০ বছরের গ্যারান্টি। টিভিতে ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্টসহ প্যানেলে রয়েছে সর্বোচ্চ ৪ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি সুবিধা। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৩টি সার্ভিস পয়েন্ট।
মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা গেছে, মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই ফোয়ারার পশ্চিম পাশে আড়াই হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে মার্সেলের সুদৃশ্য প্যাভিলিয়ন। গ্রিন টেকনোলজি মেথড অনুসরণ করে ট্রান্সপারেন্ট ডিসপ্লে’তে তৈরি করা হয়েছে মার্সেল প্যাভিলিয়ন। এতে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা দূর থেকেই মার্সেলের বৈচিত্র্যময় ও আর্কষণীয় ডিজাইনের সব পণ্য দেখে আকৃষ্ট হচ্ছেন। প্যাভিলিয়ন নির্মাণে নিরাপত্তার বিষয়কেও দেয়া হয়েছে অধিক গুরুত্ব। সেজন্য ১০ ফুটের প্রবেশদ্বারের পাশাপাশি প্যাভিলিয়ন থেকে বের হওয়ার জন্য রয়েছে ৯ ফুট চওড়া দরজা। ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনে ফায়ার রেসিস্ট্যান্ট এসিপি (এ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল), গ্লাস এবং স্টিলের ফ্রেম ব্যবহার করেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস