ধান রপ্তানি করার জন্য চেষ্টা চলছে: কৃষিমন্ত্রী

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০১-০৬ ১৯:৩০:০২


ধান রপ্তানি করার জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বৃষ্টির কারণে দেশের পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ায় এবং ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় দাম কমছে না।

তিনি সোমবার দুপুরে গাজীপুরের জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমির (নাটা) আয়োজনে ‘কৃষক-উদ্যোগ: বাণিজ্যিক কৃষির উদীয়মান চালক’ শীর্ষক সেমিনারে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে যাওয়া খুব কঠিন। আমরা খুব চেষ্টা করছি ধান রপ্তানি করতে। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, চায়না, পাকিস্তান, ভারত চাল রপ্তানি করে। এরা বাজার দখল করে রেখেছে। যারা ক্রেতা, তারা অভ্যস্ত ওইসব দেশের চালের জাতগুলোর সঙ্গে। আশা করছি, আমরা যদি রপ্তানিতে যেতে পারি, তাহলে চালের বাজারও বাড়বে। তার জন্য সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ নিচ্ছে। শতকরা ২০ ভাগ ইনসেপটিভ (প্রণোদনা) দেয়া হচ্ছে চাল রপ্তানি করলে। এক লক্ষ টাকার চাল রপ্তানি করলে একজন রপ্তানিকারক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাবেন। ব্যাংকের সহযোগিতাসহ আরো কতগুলো সুযোগ সুবিধা দেয়ার কাজ আমরা করছি।’

নাটা’র ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মো: আবু সাইদ মিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল। বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরউজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান আকন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুঈদ প্রমুখ।

মন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর পেঁয়াজ তোলার সময় অস্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছিল। পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। তার ফলে চাষীরা ঘরে পেঁয়াজ তুলতে পারে নাই। যে পরিমান পেঁয়াজ হওয়ার কথা ছিল, সেটা হয় নাই। আমরা মনে করেছিলাম ভারত থেকে আমদানি করে আমাদের ঘাটতি মেটাব। কিন্ত ভারতেও পেঁয়াজের ঘাটতি। হঠাৎ করে তারা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলশ্রুতিতে যে ক্রাইসিসটা হয়েছে, তা আমরা ওভারকাম করতে পারছি না।’

তিনি বলেন, আমাদের দেশে পেঁয়াজের দুটি মৌসুম। এ মৌসুমে পেঁয়াজ হয় মাত্র দুই লক্ষ টন। দাম বেশি থাকাতে পেঁয়াজ বড় হওয়ার আগেই পাতাসহ বিক্রি করে দিয়েছে কৃষক। যার কারণে দামটা সেভাবে কমছে না। বিদেশ থেকে আমদানি করতে একটু দেরী হচ্ছে। যার কারণে দামটা আবার বাড়ছে। আমরা বলি, ২৩/২৪ লক্ষ টন পেঁয়াজ হয়। সেটার বেশির ভাগই হয় পরবর্তী মৌসুমে। আশাকরি যদি বাজারে দাম ভাল থাকে, আমরা যদি কিছু পদক্ষেপ নেই যাতে চাষী দাম পায়, সেজন‌্য মূল মৌসুমের সময় বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখব।’

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ডিএপি সারের দাম কমানোকে মন্ত্রী সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।হিসেবে উল্লেখ করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ‘আমাদের কৃষি মার্কেটিং ডিপাটমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছি, তড়িৎগতিতে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। কি উৎপাদন হলো? কি ঘাটতি হতে পারে? তার ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যেন পরিকল্পনা নেয় যে, কতটুকু আমরা আমদানি করব।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস