সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে স্বর্ণের দাম
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০১-০৭ ০৯:৩২:৫৬
ইরান-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধাবস্থার আঁচ পড়তে শুরু করেছে জ্বালানি থেকে ধাতুর বাজারে। প্রভাবশালী দেশ দুটির উত্তেজনার মধ্যে বিনিয়োগকারীরা এখন সেফ হ্যাভেন হিসেবে পরিচিত স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন। যার ফলে মূল্যবান ধাতুটির দাম সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। একই কারণে স্বর্ণের পাশাপাশি আরেক মূল্যবান ধাতু প্যালাডিয়ামের দামও রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। খবর রয়টার্স।
গতকাল স্বর্ণের স্পটমূল্য ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৫৭৭ ডলার ৯৮ সেন্টে পৌঁছে। এর আগে মূল্যবান ধাতুটির দাম ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৫৭৯ ডলার ৭২ সেন্ট পর্যন্ত ওঠে, যা ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। আর যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণের ভবিষ্যৎ সরবরাহমূল্য ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫৮০ ডলার ৩০ সেন্টে স্থির হয়।
আরেক মূল্যবান ধাতু প্যালাডিয়ামের দাম এ-যাবত্কালের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠে আসে। দিনের একটা পর্যায়ে মূল্যবান ধাতুটির দাম আউন্সপ্রতি ২ হাজার ২০ ডলার ১৮ সেন্টে উঠে আসে। দিন শেষে দাম ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ২ হাজার ১৭ ডলার ৬৭ সেন্টে স্থির হয়।
অর্থনৈতিক মন্দা অথবা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নিরাপদ হিসেবে স্বর্ণে বিনিয়োগ বাড়ে। সম্প্রতি মার্কিন হামলায় ইরানের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল হত্যার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এরপর বাড়তে শুরু করে স্বর্ণসহ অন্যান্য ধাতুর দাম।
ধাতুর বাজারবিষয়ক তথ্য প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ফিলিপ ফিউচার্সের বিশ্লেষক বেনজামিন লু মনে করেন, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। তিনি বলেন, ইরান-মার্কিন উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের ওপর।
স্বর্ণের ভবিষ্যৎ বাজার চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনার বিষয়ে লু বলেন, স্বর্ণের দাম যদি আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৫৮৫ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে, তাহলে এটি ১ হাজার ৬০০ ডলার পর্যন্তও উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্বর্ণ ও প্যালাডিয়ামের পাশাপাশি গতকাল চাঙ্গা হয় রুপা ও প্লাটিনামের বাজারও। এর মধ্যে রুপার দাম ২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১৮ ডলার ৪৫ সেন্টে পৌঁছে আর প্লাটিনামের দাম ১ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৯৯০ ডলার শূন্য ৫ সেন্টে স্থির হয়।