বস্ত্রখাতের ৯ অ্যাসোসিয়েশন-প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিচ্ছে সরকার
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০১-০৭ ১৩:২৭:৩৭
দেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন ও রপ্তানি বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠান।আর এজন্য নয়টি অ্যাসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠানকে এবার সম্মাননা দেবে সরকার।
আগামী ৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুইদিনের বহুমুখী বস্ত্র মেলার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব অ্যাসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হাতে সম্মননা তুলে দেবেন।
বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন-টেকসই উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে গত ৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
“এই দিবস উপলক্ষ্যে আগামী বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বহুমুখী বস্ত্র মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ৯ ও ১১ জানুয়ারি এই মেলা হবে।”
সচিব জানান, বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন ও রপ্তানি বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নয়টি অ্যাসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারস অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশে গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সাটাইল মিলস অ্যান্ড পাওয়ারলুম ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) এবং বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদকে (এনসিসিবি) এবার সম্মাননা দেওয়া হবে।
সচিব আরো জানান, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ২০ শতাংশ অর্জিত হয় তৈরি পোশাক খাত থেকে। দেশের মোট জিডিপির প্রায় ১২ শতাংশ আসে বস্ত্র খাত থেকে। বস্ত্রখাতে বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমজীবী কর্মরত রয়েছে, এরমধ্যে ৮০ শতাংশ নারী।
বস্ত্র অধিদপ্তর সরকারি পর্যায়ে ৪২টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট, সাতটি টেক্সাইল ইন্সটিটিউট এবং সাতটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে স্বল্প খরচে দক্ষ শ্রমিক, সুপারভাইজর, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ তৈরি করে চাহিদা অনুযায়ী তাদের বস্ত্র ও শিল্প কারখানায় সরবরাহ করছে বলেও জানান সচিব লোকমান।
সানবিডি/ঢাকা/এনজে