তেহরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০১-১২ ১৪:২৭:২৯


ইউক্রেনের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে এবার নিজ দেশেই চাপের মুখে ইরানি সরকার। গতকাল শনিবার রাজধানী তেহরানে কয়েকশ মানুষ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করেছে। তারা ‘মিথ্যাচারের’ কারণে সরকারের পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেয়। টুইটারে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তেহরানে আমির কবির ইউনিভার্সিটির সামনে কয়েকশ মানুষ জড়ো হয়ে ‘কমান্ডার ইন চিফ, পদত্যাগ করুন, পদত্যাগ করুন’ বলে স্লোগান দিচ্ছে। স্পষ্টত তারা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পদত্যাগ দাবি করছেন।

ইরানি বার্তা সংস্থা ফার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা ‘উগ্রবাদী’ স্লোগান দিচ্ছিল। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। টুইটারে বিক্ষোভকারীদের ‘মিথ্যুক’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়। একই সঙ্গে তারা সরকারের পদত্যাগ ও উড়োজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানার পেছনে দায়ীদের বিচারের দাবি জানান। ফার্স বলছে, শিক্ষার্থীরা ‘ধ্বংসাত্মক’ ও ‘উগ্র’ স্লোগান দিয়েছে।

অন্তত দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এমন বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে এ বিক্ষোভকে ‘অনুপ্রেরণাদায়ক’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে তেহরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উসকানি দেয়ার অভিযোগে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকেয়ারকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডমিনিক রাব এক বিবৃতিতে বলেছেন, তেহরানে আমাদের রাষ্ট্রদূতকে আটকের কোনো ভিত্তি বা ব্যাখ্যা নেই। এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

গত বুধবার ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানের খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৭৬ জন আরোহী নিয়ে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বোয়িং উড়োজাহাজ। আরোহীদের সবাই মারা গেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ ছিলেন ইরানি। উড়োজাহাজে ৮২ জন ইরানি, ১১ ইউক্রেনীয়, ১০ সুইস, ৪ আফগান, ৬৩ কানাডীয়, ৩ ব্রিটিশ এবং ৩ জন জার্মান নাগরিক ছিলেন।। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান ১৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এর পরপরই উড়োজাহাজ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে গত বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, তিনি বিভিন্ন সূত্রে গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছেন যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাও হতে পারে। একই মন্তব্য করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ সংক্রান্ত কিছু ভিডিও তখন মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। যদিও ইরান তা অস্বীকার করে। সূত্র: বিবিসি ও আল জাজিরা
সানবিডি/ঢাকা/এসএস