পূর্ণ ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন না নিট পোশাক রফতানিকারকরা

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০১-১৪ ০৯:৩৭:৪৭


বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রফতানিকারকদের অর্থায়ন সুবিধা দেওয়ার জন্য দেশে প্রচলন হয় রফতানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ)। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার এ তহবিল থেকে ঋণ পান রফতানিকারকরা। পোশাক শিল্পের নিট পণ্য রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) বলছে, এ তহবিলের পূর্ণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নিট পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।

জানা গেছে,১৯৮৯ সালে ইডিএফের যাত্রা শুরু হয় । এ তহবিল থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে রফতানি শিল্প খাতের জন্য বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করা হয়। যেসব শিল্প এ তহবিলের সুবিধা নেয়, তার মধ্যে অন্যতম হলো বস্ত্র, পোশাক, চামড়া, পাদুকা, সিরামিক ও প্লাস্টিক। এছাড়া আরো বেশকিছু খাত আছে, যেগুলো এ তহবিলের সুবিধা নেয়।

বিগত ২০০৯ সালে ইডিএফের আকার ছিল ৩০ কোটি ও ২০১২ সালে ৬০ কোটি ডলার। এরপর ধারাবাহিকভাবে এ তহবিলের আকার ১০০, ১৫০, ১৮০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ২০১৬ সালে এ তহবিলের আকার দাঁড়ায় ২৫০ কোটি ডলার এবং ২০১৭ সালে হয় ৩৫০ কোটি ডলার। কিন্তু এ তহবিল থেকে স্বল্প সুদে ঋণ গ্রহণের সুবিধা পূর্ণাঙ্গভাবে নিতে পারছেন না নিট পোশাক পণ্য রফতানিকারকরা।

বিকেএমইএ বলছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সার্কুলারের কারণে ইডিএফের পূর্ণ সুবিধা পাচ্ছেন না নিট পোশাক রফতানিকারকরা। ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকেও সার্কুলারটির বিষয়ে জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। চিঠিতে নিট খাতের সংগঠন বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ইডিএফের বিপরীতে গৃহীত ঋণের সীমা পুনর্নির্ধারণের অনুরোধ জানানো হয়।

গভর্নরকে পাঠানো চিঠিতে বিকেএমইএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ থেকে ২১ মে ২০১৮ তারিখে প্রকাশিত সার্কুলার নম্বর ১২ অনুসারে বিজিএমইএ ও বিটিএমএ সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ইডিএফের বিপরীতে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। ওই সার্কুলারে বিকেএমইএর নাম অন্তর্ভুক্ত না থাকায় আমাদের সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো এ বর্ধিত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা তাদের বিনিয়োগ সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। তাই সার্কুলারে বিকেএমইএর নাম অন্তর্ভুক্ত করে নতুন সার্কুলার প্রকাশ করা জরুরি।

রফতানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য ইডিএফ ফান্ড থেকে ঋণ নিতে পারে দেশে কার্যরত এডি ব্যাংকগুলো । এক্ষেত্রে রফতানি অর্ডারের তুলনায় ওইসব কারখানার পূর্ববর্তী রফতানি পারফরম্যান্সকে গুরুত্ব দেয়ার বিধান রয়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও সিরামিক শিল্পের কারখানাগুলোকে এ ঋণ পেতে হলে তাদের সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন যেমন লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) এবং বাংলাদেশ সিরামিক ওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিডব্লিউএমএ) অনুমোদন থাকতে হবে।সূত্র-বণিক বার্তা

সানবিডি/এনজে