সকল জেলায় চক্ষুসেবা কেন্দ্র হবে -স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০১-১৯ ১৯:৩৬:৩২


২০২০ সালেই দেশের ৬৪টি জেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে চক্ষুসেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে জানিযেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি ।

রবিবার (১৯ জানুযারী) সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ন্যাশনাল আই কেয়ার কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর দ্যা ব্লাইন্ড (বিএনসিবি) সভা-২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি এসব কথা বলেন।

এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “বাংলাদেশে বর্তমানে সাড়ে ৭ লাখ অন্ধ মানুষ রয়েছে। চোখের অন্যান্য সমস্যাগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৬০ লাখেরও বেশি। কায়িক শ্রম না করার কারণে ডায়াবেটিস রোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের চোখের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশুদের তেমন কোনো খেলার জায়গা না থাকায় শিশুদেরও চোখের সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে।

সুতরাং মানুষের চোখের চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতায় আমাদের উদ্যোগের কোনো রকম ঘাটতি রাখা যাবে না। তাই এবছরই দেশের ৬৪টি জেলাতেই চক্ষু চিকিৎসক পদায়নসহ প্রতিটি উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপন করা হবে।”

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০০৭-২০১১ সময়ের জন্য দেশে প্রথম চক্ষু চিকিৎসা অপারেশন প্লান, ২০১১-২০১৬ সময়ের জন্য দ্বিতীয় অপারেশন প্লান ও ২০১৭-২০২২ সময়ের জন্য তৃতীয় অপারেশন প্লান গ্রহণ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, ন্যাশনাল আই কেয়ার সেন্টারের লাইন ডাইরেক্টর, আমাদের নতুন সময় ও জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকার সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান, এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অব অফথালমোলজি এর সভাপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটি অফথ্যালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, সিবিএম এর কান্ট্রি রিপ্রেজনটেটিভ, সুপ্রিক কোর্টের ডেপুটি এটর্নী জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন সাজু, ন্যাশনাল আই কেয়ারের লাইন ডাইরেক্টর এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।

সানবিডি/ঢাকা/এসআই