এখানে কারো জমিদারি চলবে না: ইশরাক
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০১-২৫ ১৬:৫৮:৩৪
আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রচারণায় আওয়ামী লীগের হামলা প্রসঙ্গে বলেছেন, আমাদের হামলা করলে করুক। এটা কারো নিজের দেশ না। এটা আমাদেরও দেশ। এখানে কারো জমিদারি চলবে না। আমরা আমাদের মতো কাজ চালিয়ে যাবো।
এছাড়া এই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করতে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার গোপীবাগে নিজ বাসার সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইশরাক।
তিনি বলেন, আমি যতটুকু জানি উনি (তাপস) একজন সজ্জন ব্যক্তি। আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থক এবং আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর প্রতি আমার আহবান থাকবে, নির্বাচনে কোন প্রকার ইনফ্লুয়েন্স করবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যারা আছেন এবং নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে যারা থাকবেন আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
এরপর নির্বাচনী ফলাফল যা হবে, আমরা তা মেনে নেবো। কিন্তু কারচুপি হলে আমরা কোনভাবেই সেটা মেনে নেবো না।
‘আপনি বিভিন্ন সময় অভিযোগ করে আসছেন যে আপনাদেরকে শারীরিকভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে কিন্তু আপনার প্রতিপক্ষ বলছেন এসব অভিযোগ সঠিক নয়’- এমন প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, আমার পাশে এখনো মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে একজন দাঁড়িয়ে আছেন। উনার নাম আমিনুল ইসলাম। উনি ৫৬ ওয়ার্ডের কামরাঙ্গীরচর এলাকার আমাদের একজন কর্মী। তিনি গতকাল আমার প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালায়। আর কে স্বীকার করল না করলো সেটাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু বাস্তবতা তো থেকেই যায়। গত কয়েকদিন আগে আমাদের ৪১ নম্বর কাউন্সিলর প্রার্থীকেও ফিজিক্যালি আহত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি পুলিশকে জানিয়েছি, তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছি। তাদের এসব বকওয়াস কথাবার্তা কেউ বিশ্বাস করে না। আমরাও তাদের কথার কোন পরোয়া করি না। উনারা কি বলে, না বলে সেটা তো কিছু যায় আসে না। যেটা দৃশ্যমান সেটা আপনারা তো দেখতেছেন। আমাদের হামলা করলে করুক। এটা কারো নিজের দেশ না। এটা আমাদেরও দেশ। এখানে কারো জমিদারি তো চলবে না। আমরা আমাদের মতো কাজ চালিয়ে যাবো।
এক প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি এই নির্বাচন কমিশনের পক্ষে, সরকারের পক্ষে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। আমার প্রতিপক্ষ কোন পরিবারের সেটা আমি দেখতে চাই না। কারণ এই দল থেকে যারা মনোনয়ন পাবে, সবাই দলের অবৈধ সুযোগ-সুবিধা পাবে- এটাই স্বাভাবিক। কারণ তারা তো রাষ্ট্রযন্ত্র দলীয়করণ করেছে। এই দেশটার মালিক হচ্ছে জনগণ। এ দেশটা কারো পরিবারের সম্পত্তি নয়। আমি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই স্বৈরাচারকে বিদায় করবো।
বিএনপির এ মেয়র প্রার্থী বলেন, গত কয়েক দিনের প্রচারণায় খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। প্রথম দিকে প্রচারণায় ভোটাররা আমাদের বলেছিলেন, আমরা কি ভোট দিতে পারবো। তারা এসব বলেছিলো গত নির্বাচনের আলোকে, তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে। কিন্তু এবার যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তারা নিজেরাই সংকল্প করেছেন এবার ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং ধানের শীষে ভোট দেবেন।
সানবিডি/এনজে