সবার কর্মসংস্থান মুজিব বর্ষের অন্যতম অঙ্গিকার: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-০৩-২২ ২১:৪০:১৮


যারা বড় হচ্ছে, লেখাপড়া করছে তাদের চাকরির অভাব হবে না। পদ্মা সেতু হওয়ার পর গোপালগঞ্জসহ এই এলাকার চেহারা পাল্টে যাবে। অসংখ্য কারখানা হবে এখানে। সে সময় সকল ছেলে মেয়ের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ইতিমধ্যে এখানে কর্মসংস্থানের জন্য একটি ফার্মাসিউটিক্যাল ফ্যাক্টরি তৈরি করে দিয়েছে সরকার। আপনাদেরকে আর দুঃশ্চিন্তা করতে হবে না। বাংলাদেশের ৬১ ভাগ মানুষ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী। যারা লেখাপড়া করেছে সরকার তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভালো চাকরি পাওয়ার ব্যবস্থা করবে। সেই সাথে যারা শিক্ষিত নয় তারাও যাতে কিছু করে খেতে পারে সে ব্যবস্থাও করবে বর্তমান সরকার। ‘মুজিব বর্ষে’ সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার সবার কর্মসংস্থান। সারা বিশ্বে মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য অনেক কষ্ট করে। তারা কাজ করার মানুষ পায় না। আমাদের এখানে মানুষ অনেক আছে কিন্তু কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। তাই তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

আজ (১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০) শুক্রবার বিকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এফসিএ, এমপি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দুটি। একটি স্বাধীন দেশ, একটি পতাকা আর একটি ভূখণ্ড। আর একটি স্বপ্ন ছিল এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। যেখানে মানুষ খেয়ে থাকবে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকবে, বাসস্থানের অভাব থাকবে না, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না। অর্থাৎ আলোকিত সমাজব্যবস্থা কায়েম করার চেষ্টা ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবকিছু করবে সরকার। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতিার পিতাকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরছে সারা দেশে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছি, পাশাপাশি এ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মধন্য টুঙ্গিপাড়াকে কেন্দ্র করে বিশেষ পদক্ষেপের আশা রয়েছে।

এর আগে জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদীতে পুষ্প অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান মাননীয় অর্থমন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে টুঙ্গিপাড়াকে কেন্দ্র করে বিশেষ পদক্ষেপের উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন এলাকা তিনি পরিদর্শন করেন। এছাড়া ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে সকালে তিনি বহুল প্রত্যাশিত নির্মানাধীন পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেন।

এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।