প্রবাসীদের জন্য ফ্যামিলি রেসিডেন্স ভিসা দেবে কাতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০২-১৯ ১০:০৬:২৪


মধ্যপ্রাচ্যর সমৃদ্ধ দেশ কাতারে সাময়িক বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশিদের জন্য আবারও উন্মুক্ত হয়েছে দেশটির শ্রমবাজার।

এ সুসংবাদ জানার পরক্ষনে আরেকটি সুখবর পেলেন কাতারে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা।

তাহলো -মাত্র এক মাসের জন্য নয়, অভিবাসীদের পরিবারের জন্য ৫ বছর মেয়াদী ফ্যামিলি রেসিডেন্স ভিসা দেবে কাতার সরকার।

দেশটিতে বৈধভাবে কর্মরত প্রবাসীরা এখন থেকে ইচ্ছা করলে তাদের পরিবারের সদস্যদের খুব সহজেই নিয়ে আসতে পারবেন।

মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ফ্যামিলি রেসিডেন্স ভিসা আবেদনের নিয়মাবলীও জানিয়ে দেয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

আবেদন করতে যা যা লাগবে:

১. আবেদনকারীর ভ্যালিড কাতার আইডির ফটোকপি।

২. আবেদনকারীর কাতারে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে সেটা ও সেলারি সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি।

৩. যাদের জন্য আবেদন করা হবে তাদের সবার পাসপোর্টের ফটোকপি।

৪. স্ত্রীর জন্য ম্যারেজ সার্টিফিকেট ও বাচ্চাদের জন্য তাদের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট।

৫. পরিবারের কোনো সদস্যের বয়স যদি ১৮ বছরের ওপরে হলে তার জন্য নিজ ইউনিয়ন/উপজেলা/পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশন থেকে চারিত্রিক সনদপত্র নিতে হবে।

অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য:

১. ভিসা আবেদন ফর্মটি আরবিতে টাইপ করতে হবে এবং পাসপোর্টে দেয়া তথ্য অনুযায়ী সব তথ্য পূরণ করতে হবে।

২. আবেদন ফরম ও সঙ্গে দেয়া প্রতিটি কাগজ অবশ্যই স্পষ্ট ও বোধগম্য হতে হবে।

৩. যাদের জন্য আবেদন করা হবে তাদের সবাইকে বাংলাদেশে অবস্থিত ঢাকা বা সিলেটের কাতার ভিসা সেন্টারে মেডিকেল পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হবে।

৪. তথ্যগুলো কাতারের ভিসা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করার পর ভিসা এপ্রুভালের অনুমোদন প্রদান করবে।

৫. প্রতিটি আবেদনের জন্য ২০০ কাতার রিয়েল প্রদান করতে হবে।

৬. আবেদনকারীরা চাইলে মাতরাশ-২ (হুকুমি মোবাইল অ্যাপ) এর মাধ্যমেও আবেদন কর‍তে পারবেন।

ভিসা আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন: ভিসা আবেদন ফরম

প্রসঙ্গত, কাতারে গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশি প্রবাসীদের হাতে দুই জন নেপালি নাগরিক খুন হয়। এর প্রভাব পরে কাতারের শ্রমবাজারেও। কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেয় কাতার সরকার। এতে বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।

তবে সম্প্রতি হঠাৎ করেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কাতার প্রশাসন।

সানবিডি/এনজে