দ. কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৩-০২ ১২:৩১:১০


পূর্ব এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার দেশটিতে নতুন করে আরও ৪৭৬ জনের শরীরে এ ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো চার হাজার ২১২।

চীনে যেমন উহান শহরকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে দেখা হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রেও তেমনি দক্ষিণাঞ্চলীয় পাশাপাশি দুই শহরকে এ ভাইরাস ছড়ানোর সূত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ দুই শহর হচ্ছে দেগু ও চোংডো। সন্দেহের তীর গিয়ে পড়েছে ওই অঞ্চলের শিনচিওঞ্জি নামে ক্ষুদ্র একটি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের দিকে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই এ সম্প্রদায়ের সদস্য।

ধারণা করা হচ্ছে, শিনচিওঞ্জিদের মাধ্যমেই দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যাপকভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। দেগু শহরে শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের গির্জা সংলগ্ন সড়ক জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।

কোরিয়া সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, দেশটিতে এ পর্যন্ত এ ভাইরাসে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চীনের বাইরে করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ইরানে। তবে চীনের বাইরে এ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরীয় নাগরিকরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের নয় হাজারেরও বেশি সদস্যকে পারবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সিউল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে কীভাবে তাদের মধ্যে এতো মানুষ আক্রান্ত হলেন!

দেগু দক্ষিণ কোরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর। ২৫ লাখ জনসংখ্যার এই শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাস্তায় মানুষজন বলতে গেলে চোখেই পড়ছে না। লোকজনের ভয়, তাদের শহরের পরিণতি না যেন উহানের মতো হয়।

কোরিয়া সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের গির্জার কিছু সদস্য গত জানুয়ারিতে এ ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহরে গিয়েছিলেন। এটি প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে তাদের ওই সফরের কোনও ভূমিকা রয়েছে কিনা তা নির্ধারণে তদন্ত করছেন দক্ষিণ কোরীয় কর্মকর্তারা।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে কথা বলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিম গ্যাং লিপ। তিনি বলেন, গির্জা কতৃপক্ষ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বা অন্য কোনও কারণে আমাদের সহায়তা না করে তাহলে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই কর্মকর্তাদের তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে ওই এলাকার একটি গির্জার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান লি ম্যান হি-র বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে সরকারি আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সূত্র: রয়টার্স।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস