ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমেছে
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৩-০৪ ১০:৪১:০৪
ফেব্রুয়ারিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশে। জানুয়ারিতে এ মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৯৭ ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে একনেক বৈঠক-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল আমিন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম ও সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, জানুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ১২ ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।
সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় পিকনিক ও বিয়ের মৌসুমেও মূল্যস্ফীতি বাড়েনি। এছাড়া পেঁয়াজ আকাশ থেকে মাটিতে নেমেছে। অন্যান্য বেশকিছু দ্রব্যের দামও সহনীয় পর্যায়ে ছিল। ফলে ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ কমেছে। এছাড়া শাকসবজি ও মসলাজাতীয় পণ্যের দাম জানুয়ারির তুলনায় বেশ কমেছে। এটিও মূলস্ফীতি কমে আসার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, করোনার কারণে দেশে পণ্য সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। এ ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবই। আমরা পণ্য প্রক্রিয়াজাত করি। কাঁচামাল আমদানি করার কারণে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি। পদ্মা সেতুর স্প্যান এখনো দু-একটা বাকি রয়েছে। সেগুলো চীনের উহানে তৈরি হয়। ফলে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। বিশ্বব্যাপী সমস্যা হলে আমাদেরও হবে। তবে আশার কথা হলো, চীন থেকে আমদানি পণ্যের শিপমেন্ট শুরু হয়েছে। ফলে শিগগিরই সরবরাহ পরিস্থিতি গতি পাবে।
গ্রামাঞ্চলে ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে নেমেছে। জানুয়ারিতে এটি ছিল ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশে, যা জানুয়ারিতে ছিল ৬ দশমিক ২২ শতাংশ।
অন্যদিকে শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশে। জানুয়ারিতে এটি ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, যা আগের মাসে ৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ ছিল। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। জানুয়ারিতে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূলস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস