করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ জনের ২ জনই নারায়ণগঞ্জের

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৩-০৯ ১১:৩৪:০৪


দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনের জনের মধ্যে দুইজনই নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। তারা নারায়ণগঞ্জ শহরের আল জয়নাল প্লাজার বসবাসকারী। এদের একজন পুরুষ ও একজন মহিলা। তারা উভয়ে স্বামী স্ত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ।

গতকাল রোববার জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, বাংলাদেশে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। কোভিড-১৯ আক্রান্ত এই তিন ব্যক্তির মধ্যে দুইজন ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে দুজন পুরুষ, অপরজন নারী।

আইইডিসিআর-এর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানানোর পরপরই শোনা যায় আক্রান্ত তিনজন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। তবে নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানিয়েছেন, আক্রান্ত দুইজন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। তাদের একজন পুরুষ এবং তার স্ত্রী।

ডা. ইমতিয়াজ বলেন, ‘বাংলাদেশে যে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে দুইজন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। তারা ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’ নারায়ণগঞ্জের লোকজনদের আতঙ্কিত না হবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সরকারিভাবে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেসব নির্দেশনা মেনে চলারও কথা বলেন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ।

তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, আক্রান্ত দম্পতি নারায়ণগঞ্জ শহরের থানা পুকুরপাড় এলাকায় আল জয়নাল প্লাজায় থাকেন।

এদিকে আইইডিসিআর সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের এক বাসিন্দা ইতালি থেকে করোনা (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন। বাসায় ফেরার পর তার সংস্পর্শে তার স্ত্রীও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে বলে জানা গেছে।

আইইডিসিআরে পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনাভাইরাস নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানান, জ্বর ও কাশি নিয়ে এই তিন ব্যক্তি (নারায়ণগঞ্জের দুজনসহ) গতকাল আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করেন। এরপর গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তারা পজিটিভ প্রমাণিত হন। তবে তিনজনই ভালো আছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনজনেরই বিশেষ কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। করোনার চিকিৎসা হচ্ছে সিম্পটোমেটিক অর্থাৎ লক্ষণ উপসর্গভিত্তিক। তারা সেই চিকিৎসাই পাচ্ছেন, তাদের অন্য কোনও সাপোর্টিভ চিকিৎসার প্রয়োজন হয়নি। তবে তারা আইসোলেশনেই থাকবেন। যতদিন পর্যন্ত পরপর দুটো নমুনাতে তারা নেগেটিভ প্রমাণ না হচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত তারা আইসোলেশনেই থাকবেন।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জে শহরের পুরান কোর্ট এলাকায় নির্মিত আদালত ভবনে করোনা ভাইরাসের জন্য ৩০ শয্যা বিশিষ্ট কোয়ারেন্টাইন খোলা হয়েছে। সরকারিভাবে এটি গত শনিবার স্থাপন করা হয়।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস