পাহাড় কাটায় চবিসহ তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৩-১০ ১৫:১৯:২১
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাশ্ববর্তী এলাকায় অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটার দায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিসহ তিন প্রতিষ্ঠানকে ১২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে শুনানি শেষে এ জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুনানিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার মাহবুব হারুন চৌধুরী, নিরাপত্তা প্রধান মো. বজল হক, শেরে বাংলা ফার্নিচার মার্টের স্বত্ত্বাধিকারী মো. বজল, মেসার্স হানিফ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. হানিফের এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজিম হোসেন শেখ।
পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৫ এর ধারা ৭ ও ১২ অনুযায়ী পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি সাধান হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে ৯ লাখ ৫ হাজার টাকা, হাটহাজারীর শেরে বাংলা ফার্নিচার মার্ট ও মেসার্স হানিফ এন্টারপ্রাইজকে এক লাখা ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যের এই জরিমানা পরিশোধ করতে, পাহাড়ের পূর্বের অবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ভবিষ্যতে উন্নয়ন কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি গ্রহণ ও এ অপরাধ না করার অঙ্গীকার নামা দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয় শুনানিতে।
পাহাড় কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কেএম নুর আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা পাহাড় কেটে কোন স্থাপনা করিনি। যেখানে পাহাড় কাটা হয়েছে, সেখানে এখনও আমাদের সীমানা নির্ধারণ হয়নি। আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
এর গত মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জীববিজ্ঞান অনুষদের পেছনে নির্বিচারে গাছ কাটার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। গাছগুলো বহনের জন্য প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা করা হয়েছে পাহাড় কেটে। পাহাড় কাটা ও গাছ পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন স্থানীয় দুই বাসিন্দা মো. হানিফ ও মো. বজল। ঘটনার পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি গাছ কাটা নিরোধ কমিটি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসানসহ তিন সদস্য পদত্যাগ করে। পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এসে পাহাড় কাটার প্রমাণ পেয়ে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ দেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা গাছ ও পাহাড় কাটা বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামেন।
সানবিডি/এনজে