বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত ডিএসসিসির সাড়ে ৯ হাজার কর্মী

আপডেট: ২০১৫-০৯-২১ ১৬:১৩:৪৮


Barja

বরাবরের মতো এবারো পবিত্র ঈদুল আজহায় ২ লক্ষাধিক কোরবানি পশু জবাই হবে বলে ধারণা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এসব পশু থেকে কমপক্ষে ২০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদন হবে। রাজধানী জুড়ে জবাই দেয়া কোরবানি পশুর এ বিশাল বর্জ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অপসারণ করতে প্রস্তুত সিটি করপোরেশন। এজন্য নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। বাতিল করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি। মাঠে নামানো হচ্ছে সাড়ে ৯ হাজার কর্মী।

বৃহস্পতিবার  কোরবানির প্রস্তুতি প্রসঙ্গে এসব বিষয় জানান সংস্থার প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন রকিব উদ্দিন।

রকিব উদ্দিন জানান, ‘দ্রুত বর্জ্য অপসারণের লক্ষে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পশু জবাই দিতে ডিএসসিসির ৫৭টি ওয়ার্ডে ৩২৪টি স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে এসব স্থানের মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪টি করে মোট ২২৮টি সামিয়ানা দেয়া হয়েছে। দ্রুত বর্জ্য অপসারণের জন্য একটি কেন্দ্রীয় ও ওয়ার্ড ভিত্তিক সমন্বয় কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি হাট পরিষ্কার, ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিযোগ ও পরামর্শ নিতে বসানো হবে মনিটরিং সেল। এ কাজে নগরবাসীর মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষে মেয়রের আহ্বান জানিয়ে শেষ দুই দিন মাইকিং ও ৫৫ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হবে। একইসঙ্গে করপোরেশনের আওতায় প্রতিটি মসজিদ থেকেও মাইকিং করা হবে।

পশুর হাট দ্রুত পরিস্কার করার জন্য করপোরেশনের পক্ষ থেকে- ১০ টি পে-লোডার, ০৭টি টায়ার ডোজার, ৩৫ টি ডাম্পার, ০৪ টি ট্রেইলর, ০২ টি প্রাইম মোভার, ২ টি ব্যাক-হো লোডার থাকবে।

পরিচ্ছন্নতা কাজে ১৩৫ টি খোলা ট্রাক, ৭৩ টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার এবং ১৭ টি কম্পেক্টরসহ নিয়মিত ৩২৫ টি কন্টেইনার ব্যবহৃত হবে। অতিরিক্ত আরও ২২ টি কন্টেইনার বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হবে। এছাড়া ব্যাগ ভর্তি করে নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য রাখতে এক লাখ পলিব্যাগ বিনা মূল্যে বিতরন করা হবে।

নগরীকে দ্রুত পরিস্কার করার জন্য করপোরেশনের নিয়মিত ৫২০০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীর পাশাপাশি অতিরিক্ত আরো ১২০০ জন শ্রমিক কাজ করবে। এছাড়াও প্রাইমারী কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডারের (পিসিএসপি) ৩০০০ কর্মী ও ৬০০ ভ্যান পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত থাকবে।

সড়কগুলো থেকে পশুর রক্ত ও জীবানু মুক্ত করতে করপোরেশনের ৫টি পানির গাড়ীর পাশাপাশি ঢাকা ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কয়েকটি গাড়ি কাজ করবে।
এছাড়াও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মধ্যে ঝাড়ু, বেলচা, কোদালসহ নতুন ৫০০ টি হাতগাড়ী দেয়া হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডের অলি-গলিতে এক হাজার ১৫ লিটার জীবানু নাশক তরল পানি ও ৩৪১ ড্রাম ব্লিসিং  পাউডার ছিটানো হবে। ডিএসসিসির সর্ববৃহৎ ল্যান্ডফিল মাতুয়াইল স্যানেটারি ল্যান্ডফিলে ৬ টি এক্সকাভেটর, ৫ টি বুলডোজার ও ২ টি টায়ার ডোজার দেয়া হয়েছে।

ঈদের দিন বেলা ২টায় ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন আনুষ্ঠানিক বর্জ্য অপসারণ কাজের উদ্বোধন করবেন।

এছাড়া করপোরেশনের আওতাধীন প্রতিটি অঞ্চলের জনসাধারণকে যে কোনো সহযোগিতা পেতে নিচের নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন সংস্থার এই কর্মকর্তা।

অঞ্চল-১: (ধানমন্ডি, শুক্রাবাদ, নিউমার্কেট, মন্ত্রীপাড়া, সেগুন বাগিচা ওপরিবাগ এলাকা) ০১৭১২-২৯৩১৮৬, ০১৬৭৭-৫৫৯৫১৫। অঞ্চল-২: (খিলগাঁও, বাসাবো,মতিঝিল, কমলাপুর, মালীবাগ এলাকা) ০১৭১৫-৪৩২৩৬৭, ০১৯৭১-৪৭৮৩৭৫। অঞ্চল-৩: (লালবাগ, হাজারীবাগ, আজিমপুর ও ঝিগাতলা এলাকা) ০১৯১১-৭০৯৮৭৮, ০১৫৫২-৪৪২৩৯১। অঞ্চল-৪: (নয়াবাজার, সিদ্দিক বাজার, লক্ষীবাজার, সূত্রাপুর এলাকা) ০১৭১২-৫৯২১২৬, ০১৭১১-৬৯৭৫৭৪। অঞ্চল-৫: (সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, দয়াগঞ্জ, গেন্ডারিয়া এলাকা) ০১৯৩৭-৬৯১৬৩৯, ০১১৯৩-২১৪১৪৩।

এছাড়াও নগরভবনের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমের ৯৫৫৬০১৪ নম্বরে ফোন করেও সহযোগিতা পাওয়া যাবে।