অস্ট্রেলিয়ার স্বর্ণ উত্তোলনে রেকর্ড

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৩-১৮ ০৯:২০:৫১


বিভিন্ন ধরনের মুল্যবান খনিজ সম্পদে ভরপুর অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে অন্যতম স্বর্ণ। বিশ্বে মূল্যবান ধাতুটির শীর্ষ উত্তোলনকারী দেশগুলোর তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান তৃতীয়। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান খাত এটি। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ধাতুটির উত্তোলন বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চে উঠেছে। মূলত বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ধাতুটির উত্তোলন রেকর্ড বাড়ায় দেশটির সামগ্রিক উত্তোলন বেড়েছে। খবর অস্ট্রেলিয়ান মাইনিং।

২০১৯ সালের পুরোটা জুড়ে অস্ট্রেলিয়ার খনিগুলো থেকে মোট ৩২৫ টন স্বর্ণ উত্তোলন করা হয়েছে, যা দেশটিতে পণ্যটির এ যাবত্কালের সর্বোচ্চ উত্তোলন। এর মধ্যে শুধু শেষ প্রান্তিকেই উত্তোলন হয়েছে ৮৭ টন। প্রান্তিকভিত্তিক উত্তোলনে যা দেশটির রেকর্ড উত্তোলন। এর আগের প্রান্তিকে দেশটি উত্তোলন করেছিল মোট ৮২ টন স্বর্ণ। এ প্রান্তিকভিত্তিক উত্তোলন বৃদ্ধিই গত বছরে দেশটিতে স্বর্ণের সামগ্রিক উত্তোলন বাড়িয়ে তুলেছে। ২০১৮ সালে দেশটিতে মোট ৩১৭ টন স্বর্ণ উত্তোলন হয়েছিল। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ায় মূল্যবান ধাতুটির উত্তোলন বেড়েছে আট টন।

এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার একটি খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, আগামী বছরগুলোতেও দেশটির স্বর্ণ উত্তোলন আরো বাড়তে পারে। এর আগে ধাতুটির উত্তোলন বাড়াতে দেশটির সরকার কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। সম্প্রতি এ প্রকল্পগুলো কার্যক্রমে আসতে শুরু করেছে, যা খনিজপণ্যটির উত্তোলন বাড়ার পেছনে মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।

স্বর্ণ রফতানি অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক আয়ের গুরুত্বপূর্ণ খাত। পণ্যটির রফতানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় দেশটির অবস্থান ষষ্ঠ। উত্তোলন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গত বছর এ খাতে দেশটির আয় বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম চাঙ্গা থাকায় এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তথ্যমতে, গত বছর অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আউন্স স্বর্ণের গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। এ খাতে দেশটির আয় হয়েছে ২ হাজার ৫০০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বেশি। স্বর্ণ রফতানিতে এটাই দেশটির সর্বোচ্চ বার্ষিক আয়।

সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ উত্তোলন হয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলসে অবস্থিত কাডিয়া ইস্ট খনি থেকে। নিউক্রেস্ট মাইনিংয়ের মালিকানাধীন খনিটি থেকে গত বছর মোট ৮ লাখ ৭১ হাজার ২৪৬ আউন্স স্বর্ণ উত্তোলন করা হয়েছে।