কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল এফবিসিসিআই
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৩-২১ ১২:৪০:৫২
যে সকল ব্যবসায়ীরা ঋণ গ্রহণ করেছেন তাদেরেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণখেলাপি ঘোষণা না করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
করোনাভাইরাস থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের ব্যাংকঋণ কোনো অবস্থাতেই যেন ঋণখেলাপি বা শ্রেণীকরণের আওতায় না আনা হয়, এ ব্যাপারে শুরু থেকেই দাবি জানিয়ে আসছিল এফবিসিসিআই। শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ ফাহিম বলেন, বৃহস্পতিবারের সিদ্ধান্ত এ কঠিন সময়ে চাপে থাকা ব্যবসায়ীদের জন্য ‘দম নেবার’ সুযোগ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি এফবিসিসিআই ও সারা দেশের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানাই। এতে ব্যবসায়ীরা অনেকটা স্বস্তি পাবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসাক্ষেত্র, আমদানি-রফতানি খাতসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ফলে অনেক ঋণগ্রহীতাই সময়মতো ঋণের অর্থ পরিশোধে সক্ষম হবেন না বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এতে চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যে গত ১ জানুয়ারি ঋণের শ্রেণীমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ওই মানেই রাখতে হবে এবং ঋণ পরিশোধে কেউ ব্যর্থ হলে ৩০ জুন পর্যন্ত কাউকে ঋণখেলাপি হিসেবে ঘোষণা করা যাবে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশ জারি করে।
গত জানুয়ারি থেকে চীনে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকে, যার প্রভাবে দেশের বাণিজ্য খাতে সাময়িক সংকট তৈরি হয়। সম্ভাব্য সংকট মোকাবেলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে আসছিল এফবিসিসিআই। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফাহিম মতিঝিলে ফেডারেশন কার্যালয়ে ব্যাংকঋণসহ অন্যান্য আর্থিক প্রক্রিয়া ব্যবসায়ী ও বাণিজ্যের অনুকূলে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি করোনাভাইরাসের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে যে ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেজন্য উদ্যোক্তাদের ব্যাংকঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে বিলম্বের কারণে কোনো প্রকার শাস্তি প্রদান না করা, বেতন ও ভাতা প্রদানে চলতি মূলধন সহযোগিতা অব্যাহত রাখা, রফতানির ক্ষেত্রে ব্যাক টু ব্যাক এলসি সহযোগিতাসহ অন্যান্য ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানের দাবি জানান। পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে চিঠি প্রদান করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।