আরবিসি ব্যাংক ও অন্যদের আবেদন খারিজ
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-০৩-২৩ ১৯:৩৩:৫৭
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে করা মামলা খারিজ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিপিনো সংবাদমাধ্যমগুলো।
ফিলিপাইনের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ইনকোয়ারার ও সিএনএন ফিলিপাইন্স জানিয়েছে, এই মামলার অন্যতম বিবাদী সোলায়ার রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনোর মালিক ব্লুমবেরি রিসোর্টস গ্রুপ সোমবার ফিলিপাইনের স্টক এক্সচেঞ্জে মামলা খারিজের তথ্য প্রকাশ করেছে।
তারা জানিয়েছে, নিউইয়র্কের ম্যানহাটন সাদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়য়। ওই টাকা ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করে বাংলাদেশ ব্যাংক। মামলার অভিযোগে বলা হয়, রিজার্ভ চুরির ষড়যন্ত্রের সঙ্গে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরবিসি) কিছু কর্মকর্তা ও অন্য প্রতিষ্ঠান জড়িত। এর মধ্যে অন্যতম বিবাদী ব্লুমবেরি রিসোর্ট করপোরেশন। তাদের মালিকানাধীন সোলায়ার রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনোতেই রিজার্ভের চুরি যাওয়া কিছু অর্থ খরচ করা হয়েছে।
সোমবার ফিলিপাইন স্টক এক্সচেঞ্জে বাংলাদেশ ব্যাংকের আনা অভিযোগ খারিজ সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দিয়েছে ব্লুমবেরি। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশ পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় কেটিয়ার ইনফ্লুয়েন্সড অ্যান্ড করাপ্ট অরগানাইজেশনস অ্যাক্ট বা রিকো ষড়যন্ত্র মামলা খারিজে বিবাদীদের যৌথ আবেদন মার্কিন আদালত মঞ্জুর করেছেন।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সুইফট সিস্টেমে ৭০টি ভুয়া পরিশোধ অর্ডার পাঠিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে মোট ১৯২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার অবৈধভাবে নেয়ায় চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে একটি পরিশোধ অর্ডারে শ্রীলঙ্কায় দুই কোটি ডলার ও চারটি অর্ডারে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের একটি শাখার ভুয়া গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হয়ে জুয়ার বাজারে চলে যায়।
শ্রীলঙ্কা থেকে ইতোমধ্যে চুরি হওয়া সব অর্থ ফেরত এসেছে। ফিলিপাইনে যাওয়া অর্থের মধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেশটির আদালতের আদেশে ফেরত আনা হয়েছে। বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার আইনি প্রক্রিয়ায় উদ্ধারের চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।