করোনা দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে কামরুন্নাহার শরীফ
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৪-১১ ১০:০২:১১
মারণঘাতি করোনাভাইরাসে সৃষ্ট দুর্যোগে স্থানীয় দুস্থ, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঈশ্বরদী মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুন্নাহার শরীফ। তিনি সদ্য প্রয়াত সাবেক ভূমিমন্ত্রী, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শামসুর রহমান শরিফ এমপি’র সুযোগ্য সহধর্মিণী।
বর্তমানে বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এর সংক্রমণ থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়। সরকার সংক্রমণ ঠেকাতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। স্বেচ্ছা গৃহবন্দি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে সবাইকে বলা হচ্ছে। করোনার কারণে সংকটে পড়েছেন সমাজের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে পাবনার ঈশ্বরদীর মানুষ এই দুর্যোগে তাদের প্রাণপিয় নেতা আলহাজ্ব শামসুর রহমান শরিফ এমপি’র শূন্যস্থান যেন অনুভব করতে না পারেন এ কারণে সেই গুরুদায়িত্ব নিজ উদ্যোগে কাঁধে তুলে নিয়েছেন কামরুন্নাহার শরীফ। পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে এলাকার জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ইতোমধ্যে কামরুন্নাহার শরীফের দিকনির্দেশনা এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪ হাজার নিম্নআয়ের ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কামরুন্নাহার শরীফ বলেন, আলহাজ্ব শামসুর রহমান শরিফ ছিলেন গণমানুষের নেতা। তিনি সারা জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া তথা পাবনা জেলার মানুষের মনে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। আজ তিনি প্রয়াত। করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সকল স্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তার জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দেশের এই দুঃসময়ে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
কামরুন্নাহার শরীফ আরো বলেন, আজ তিনি (আলহাজ্ব শামসুর রহমান শরিফ এমপি) বেঁচে থাকলে এভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। আমরাও চেষ্টা করছি। আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
সরেজমিনে জানা যায়, ঈশ্বরদী পৌর শহর, দাশুড়িয়া, পাকশী, সলিমপুর, সাঁড়া, লক্ষীকুন্ডা, মুলাডুলি ও সাহাপুর ইউনিয়নে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় মরহুমের পুত্র গালিবুর রহমান শরিফ, সাকিবুর রহমান শরীফ কনক ও শিরহান শরীফ তমালসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসব খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল তিন কেজি চাল, এক কেজি আলু, আধা কেজি ডাল, আধা লিটার ভোজ্য তেল, লবণ, মসলা ও একটি করে হাত ধোয়া সাবান।