কঠোর গোপনীয়তায় মাজেদের লাশ দাফন
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৪-১২ ১১:৫১:৪৬
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের পর তার লাশ কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর এলাকায় দাফন করা হয়েছে।
মাজেদের শ্বশুর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিক তার লাশ দাফন করা হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন, শম্ভূপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ ও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনির লাশ সোনারগাঁয়ে দাফন করার খবর সকালে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সোনারগাঁয়ে মাজেদের লাশ দাফন করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ ও লাশ অপসারণের দাবি জানান।
সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ খুনি মাজেদের লাশ সোনারগাঁয়ে দাফন করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
অনেকে মাজেদের লাশ অপসারণ না করা হলে তা কবর থেকে তুলে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার ঘোষনা দেন।
ভোলায় তার লাশ দাফনের কথা থাকলেও শনিবার বিকালে লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমপি শাওন বলেন, খুনি মাজেদের লাশ ভোলাবাসী গ্রহণ করবে না। তার লাশ প্রয়োজনে বঙ্গপোসাগরে ভাসিয়ে দিতে বলেন এমপি শাওন।
রোববার প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা এক মিনিট) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে (৭২) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৪৪ বছর ৭ মাস ২৬ দিন পর খুনি মাজেদের ফাঁসি হয়। এতে শাহজাহানের নেতৃত্বে মনির ও সিরাজ জল্লাদ হিসেবে কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ৬ জনের সাজা কার্যকর হল। পলাতক আছে আরও ৫ খুনি। দণ্ড মাথায় নিয়ে এক খুনি বিদেশেই মারা গেছে। আদালত ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন।
শনিবার দুপুরের পর থেকে রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। মাজেদকে জানিয়ে দেয়া হয় তার সাজার বিষয়। কারা চিকিৎসক খুনি মাজেদের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন।
কয়েকবারই তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। রাতে মাজেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার স্ত্রী সালেহা বেগম, সালেহার বোন ও ভাইয়ের ছেলে। এ সময় তারা কারা প্রকোষ্ঠেই কিছু সময় কাটান। বেরিয়ে আসার সময় স্ত্রী সাহেলাকে চোখ মুছতে দেখা গেছে।
সন্ধ্যার পরপরই মাজেদকে রাতের খাবার খেতে দেয়া হয়। কারা মসজিদের ইমাম এসে তাকে তওবা পড়ান। এর আগে তাকে গোসল করানো হয়। সব কিছুই শান্ত ও ধীরস্থিরভাবে সম্পন্ন করে মাজেদ। শেষ সময় সে নামাজ আদায় করে।
রাতে ধীর পদক্ষেপে মাজেদ ফাঁসির মঞ্চের দিকে এগিয়ে যায়। তবে কারাগারের সেল থেকে বের করার সময় তাকে কিছুটা ভীত দেখা যায় বলে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। দুই দিক থেকে দু’জন জল্লাদ তাকে মঞ্চের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
ফাঁসি কার্যকরের সময় ঢাকার জেলা প্রশাসক, এসপি, সিভিল সার্জন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আইজি (প্রিজন্স), কারা চিকিৎসকসহ কারা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চে তোলার পর জল্লাদদের একজন কালো রঙের জমটুপি দিয়ে তার মাথা ও মুখ ঢেকে দেয়। গলায় দড়ি পরিয়ে দেয় অপর জল্লাদ।
এরপর সিনিয়র জেল সুপার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে হাতে রুমাল নিয়ে দাঁড়ান। ঘড়ির কাঁটা নির্ধারিত সময় স্পর্শ করার পর তিনি হাতের রুমাল ফেলে দেন। রুমাল পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জল্লাদ মঞ্চে হাতল ধরে টান দেয়। দু’ফাঁক হয়ে যায় প্লেট, ঝুলে পড়ে মাজেদের দেহ। কিছুক্ষণ ঝুলিয়ে রাখার পর তার মরদেহ ফাঁসির মঞ্চ থেকে নামিয়ে আনা হয়। চিকিৎসক তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
এরপর তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। মৃতদেহ রাখার জন্য আগেই কফিন এনে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে কফিনে ভরে পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন কারা কর্তৃপক্ষ।
মাজেদের লাশের গাড়িবহর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে দাফনের উদ্দেশে রওনা দেয়। এর আগে রাত ১১টার মধ্যেই কারাগারে প্রবেশ করেন আইজি (প্রিজন্স), অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন্স), ডিআইজি (প্রিজন্স), সিনিয়র জেল সুপার, ঢাকার সিভিল সার্জন, কারাগারের দু’জন সহকারী সার্জন, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি।
বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করার পর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে। এর পর থেকেই মূলত ফাঁসি কার্যকরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় কারাগারে মাজেদের সঙ্গে তার স্ত্রীসহ পরিবারের ৫ সদস্য দেখা করেন। শনিবার ফাঁসির মঞ্চসহ সব কিছুর প্রস্তুতি দফায় দফায় পরীক্ষা করে দেখা হয়।
মঞ্চটি নতুন করে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হয়। কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এটিই প্রথম কারো ফাঁসি। কাজেই সেভাবেই সব প্রস্তুতি নেয়া হয়। জল্লাদ কে থাকবে, তাকে সহায়তা কবরে কে কে তাও নির্ধারণ করা হয়।
১০ সদস্যের জল্লাদ দলকে শনিবার দিনের আলোতে একাধিকবার ট্রায়ালও দেয়া হয়। রাত ৮টার দিকে ফাঁসির মঞ্চের আশপাশের আলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়। সেখানে দায়িত্ব পালন করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কারাগারের আশপাশের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়।
বুধবার ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী খুনি মাজেদের বিরুদ্ধে মৃত্যুপরোয়ানা জারি করেন। সোমবার রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও বিচার: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার নির্মমভাবে হত্যা করে একদল বিপথগামী সেনাসদস্য।
ওই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে পদে পদে বাধা আসে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপরই দায়মুক্তি (ইনডেমনিটি) অধ্যাদেশ জারি করা হয়। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর দায়মুক্তি আইন বাতিল করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
ওই বছরের ২ অক্টোবর ধানমণ্ডি থানায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর তৎকালীন ঢাকার দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন।
নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের শুনানি শেষে ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন। ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে তিনজনকে খালাস দেন। এরপর ১২ আসামির মধ্যে প্রথমে চারজন ও পরে এক আসামি আপিল করে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও আপিল শুনানি না হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া আটকে যায়।
দীর্ঘ ছয় বছর পর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আপিল বিভাগে একজন বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাটি ফের গতি পায়। ২০০৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামির লিভ টু আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।
আপিলের অনুমতির প্রায় দুই বছর পর ২০০৯ সালের অক্টোবরে শুনানি শুরু হয়। ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ৫ আসামির আপিল খারিজ করেন। ফলে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে হাইকোর্টের দেয়া ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকে। এভাবে ১৩ বছর ধরে চলা এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হলে দায়মুক্ত হয় বাংলাদেশ।
ফাঁসি কার্যকর হয়েছে যাদের : খুনি মাজেদ ছাড়াও ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে ৫ আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এরা হল- সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদ। আর ওই রায় কার্যকরের আগেই ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যায় আসামি আজিজ পাশা।
এখনও পলাতক যারা : মাজেদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হওয়ায় বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি এখনও পলাতক। তারা হল- খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী ও এএম রাশেদ চৌধুরী। এরা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা। এই ৫ খুনি বিভিন্ন দেশে পলাতক অবস্থায় আছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। আসামিদের মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে ও নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছে। তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
২৩ বছর কলকাতায় ছিল খুনি মাজেদ : রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ মঙ্গলবার বলেন, খুনি মাজেদ ২২-২৩ বছর কলকাতায় অবস্থান করেছে। সেখান থেকে চলতি বছর মার্চের মাঝামাঝি বাংলাদেশে এসেছে।
এরপর থেকে সে ঢাকায় অবস্থান করছিল। সিটিটিসি সূত্র জানায়, ভারতের কলকাতায় আবদুল মাজেদ নিজেকে আবদুল মজিদ পরিচয় দিয়ে আত্মগোপনে ছিল। নব্বই দশকের মাঝামাঝি মাজেদ প্রথমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যায়।
ভারত থেকে পালিয়ে সে প্রথমে যায় লিবিয়ায়। সেখান থেকে আসে পাকিস্তানে। লিবিয়া ও পাকিস্তানে সুবিধা করতে না পেরে আবারও ভারতে ফিরে আসে। বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থান করার পর ৩-৪ বছর ধরে কলকাতায় অবস্থান করছিল সে। সেখানে মাজেদ তেমন কিছু করত না।
বাংলাদেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগযোগ ছিল তার। করোনাভাইরাস আতঙ্কে ময়মনসিংহের সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরে আসে সে। দেশে ফেরার পর মিরপুর ডিওএইচএসের এক নম্বর সড়কের ১০/এ বাসায় ওঠে।
কে এই ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাটামারা গ্রামের মরহুম আলী মিয়া চৌধুরীর ছেলে ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ। ১৯৭৫ সালে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকাণ্ডের সময় সে অন্য আসামিদের সঙ্গে সরাসরি অংশগ্রহণ করে। হত্যাকাণ্ড শেষে সে বঙ্গবন্ধু হত্যার অপর আসামি মেজর শাহরিয়ারসহ অন্য সেনাসদস্যদের সঙ্গে রেডিও স্টেশনে দায়িত্ব পালন করে।
সে হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী অফিসারদের সঙ্গে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের আদেশে বাংলাদেশ থেকে ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া যায়। সেখানে ক্যুকৃত অফিসারদের সঙ্গে তিন মাস অবস্থান করে। এরপর তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান তাকে সেনেগাল দূতাবাসে বদলির আদেশ দেন।
১৯৮০ সালের ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান সরকার ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি দেন এবং উপসচিব পদে যোগদানের সুবিধার্থে সেনাবাহিনী চাকরি থেকে সে অবসর নেয়। পরে তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ শুরু করলে সে গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে আত্মগোপন।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস