করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার ছাড়ালো
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৪-২১ ০৯:২৫:১৪
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারিতে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা আক্রান্ত হচ্ছে।
সিঙ্গাপুর প্রথম দিকে করোনা সংক্রমণ রোধে ভালই সাফল্য দেখিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে এখন হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। জানুয়ারি মাসে সিঙ্গাপুরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এপ্রিলে এসে নতুন রোগী শনাক্তে গত চার মাসের রেকর্ড ভেঙ্গেছে দেশটি। স্পেনে যদিও দিন দিন করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমে আসছে, তবুও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও দীর্ঘ সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে শতকরা ৮০ শতাংশ লোক উপসর্গহীন করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনার কারণে চীনের কাছে ১৩ হাজার কোটি পাউন্ডের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে জার্মানির জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকা ‘বিল্ড’। করোনা মহামারীর জন্য বেজিংকে দায়ী করে সর্ববৃহৎ জাতীয় পত্রিকা বিল্ডে প্রকাশিত এক মন্তব্য প্রতিবেদনে এমন দাবি জানানো হয়। এছাড়া তুরস্কেও পুলিশ সদস্যরা হাসিমুখে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে রুটি ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে রমজান মাসে তারাবিহসহ অন্যান্য সব নামাজ বাড়িতেই আদায় করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি যেসব স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তাদের রোজা না রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। এদিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেখানকার লোকজন ইতোমধ্যেই কাজে ফিরতে শুরু করেছেন। পার্ক, রেস্টুরেন্ট, শপিংমলে ভিড় করতে শুরু করেছে মানুষ। দেশজুড়ে করোনার প্রকোপ কমতে থাকায় সামাজিক দূরত্ব কিছুটা শিথিল করা হয়েছে সেখানে। জার্মানিতেও লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। ভারতে সোমবার থেকে লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়। খবর স্ট্রেইট টাইমস, গাল্ফ নিউজ, আরব নিউজ, আনাদোলু এজেন্সি, বিবিসি, সিএনএন, গার্ডিয়ান ও ওয়াশিংটন পোস্টের।
সিঙ্গাপুরে সোমবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪২৬ জন নতুন শনাক্ত হয়েছে। জানুয়ারিতে সংক্রমণ শুরুর পর একদিনে এটাই সর্বোচ্চ। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা ১৬ জন। বাকি আক্রান্তরা দেশটিতে কাজ করা বিদেশী শ্রমিক, যারা বিভিন্ন ডরমেটরিতে থাকেন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার এখনও সবচেয়ে কম সিঙ্গাপুরে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৮ হাজার ১৪ জন। দেশটির করোনা সংক্রান্ত সরকারী ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ১৯ এপ্রিল ৫৯৬, ১৮ এপ্রিল ৯৪২, ১৭ এপ্রিল ৬২৩, ১৬ এপ্রিল ৭২৮ এবং ১৫ এপ্রিল নতুন আক্রান্ত ছিল ৪৪২ জন। ২০ এপ্রিল একদিনে আক্রান্ত প্রথম হাজার ছাড়ালো। হাসপাতাল থেকে রোগ নিরাময় হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ৭৬৮ জন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে আইসোলেশনে আছে ২৮৮৮ জন আর এখনও চিকিৎসাধীন ২৮৯৯ জন।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৬৮ হাজার ছাড়িয়েছে। বৈশ্বিক মহামারীতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১০ দেশ আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারী হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪০১ জন। এর মধ্যে এক লাখ ৬৮ হাজার ৮৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ছয় লাখ ৪২ হাজার ৬৭৬ জন।