ভোটের লড়াইয়ে ২০টি দলের ৭১১ প্রার্থী

প্রকাশ: ২০১৫-১২-০৬ ২২:৫৪:০২


ECআগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিতে ২০টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মেয়র পদে মোট মনোনয়ন জমা পড়েছে ১ হাজার ২১৯টি। এরমধ্যে দলীয় ৭১১টি ও স্বতন্ত্র ৫০৮টি মনোনয়ন জমা পড়ে।
এই নির্বাচনে জাকের পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণতন্ত্রী পার্টি ও গণফোরাম প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির তালিকা দিলেও কোনো প্রার্থী তাদের দলের পক্ষে মনোনয়ন গ্রহণ করেনি। ইসি কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধিত ৪০টি দলের মধ্যে প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে ২৫টি দল কমিশনকে জানিয়েছিল। এরমধ্যে চারটি দলের মনোনয়নপত্র পাওয়া যায়নি।
ইসির হিসাব অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২৩৬টি পৌরসভায় ২৩৯ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। এর মধ্যে খুলনার পাইকগাছা, মাগুরা সদর ও বরগুনার বেতাগী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দুজন করে প্রার্থী আছে বলে রিটার্নিং অফিসার বরাবর দাবি করা হয়।
নির্বাচনে বিএনপি ২৩৪জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে দলটির ১০জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেছে। জাতীয় পার্টি-জাপা ৯১ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ২৬ জন, জাতীয় পার্টি (জেপি) ৬ জন, ওয়ার্কার্স পার্টি ৯ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি ৪ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৬১ জন, ন্যাশন্যাল পিপলস পার্টি- ১৭ জন, খেলাফত মজলিশ ৮ জন, ইসলামী ঐক্যজোট ৩ জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৪ জন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি ২ জন করে প্রার্থী দিয়েছে। এছাড়া বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, প্রগতিশীল গনতান্ত্রিক দল-পিডিপি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ এর একজন করে প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মোট ১৩ হাজার ৬৮৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে মেয়র পদে ১ হাজার ২১৯ জন সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন। সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৬৬৮ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯ হাজার ৭৯৮ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রবিবার মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিন ছিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৩ ডিসেম্বর। ১৪ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। আর ২৩৪ পৌরসভায় ভোট গ্রহন করা হবে ৩০ ডিসেম্বর।
প্রাথমিকভাবে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৩৬টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আদালতের নির্দেশে মংলা ও মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌর নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকারের পৌরসভার নির্বাচনে শুধু মেয়র পদে দলীয়ভাবে ভোট হবে। আর সংরক্ষতি ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে নির্দলীয়ভাবে।