কাজ হারানোর বেশি ঝুঁকিতে ‘ফ্রি ভিসায়’যাওয়া প্রবাসীরা

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৮-০৮ ১৭:৪২:৫৫


বাংলাদেশি কর্মীরা কাজ না থাকার পরেও ভিসা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গমন করেন। এই ধরণের ভিসার নাম ‘ফ্রি ভিসা’। এই ভিসায় গন্তব্য দেশে গিয়ে শুধু স্থানীয় নাগরিকের অনাপত্তিপত্র নিয়েই করা যেত ব্যবসা কিংবা কাজ। কিন্তু করোনায় সেই পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সৌদি আরবে এই ফ্রি ভিসায় অবস্থান করছেন কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই লাখ বাংলাদেশি। করোনার প্রভাবে তারাই সবচেয়ে বেশি কাজ হারানোর ঝুঁকিতে আছেন বলে মনে করছেন অভিবাসন খাত সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা পরিস্থিতিতে কী পরিমাণ কর্মী শ্রমবাজারের দেশগুলোতে কাজ হারাবেন কিংবা ফেরত আসবেন তার সঠিক হিসাব নেই কারও কাছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় লাখ খানেক কর্মী বিদেশ যেতে পারেননি বলে জানিয়েছে জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রা। তারা এও আশঙ্কা করছে, যারা কাজ ছাড়া শুধু অন্য ভিসায় গেছেন তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।

বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি কর্মী যায় সৌদি আরবে। মোট অভিবাসনের প্রায় ৭৫ ভাগই এই দেশটিতে। ফেরত আসলে এই দেশ থেকেই আসার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা। তবে যারা নির্দিষ্ট কোম্পানির কাজ করেন তাদের ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা কমই দেখছেন তারা।

সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ঢাকায় পাঠানো এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৩ ক্যাটাগরির কর্মী ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের আকামার মেয়াদ শেষ, যারা  তথাকথিত ফ্রি ভিসায় বিভিন্ন পেশায় জড়িত এবং যাদের আকামার মেয়াদ আছে। তবে আকামার মেয়াদ যাদের আছে তাদের সংখ্যা খুব অল্প বলে মনে করছে দূতাবাস।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সূত্রে জানা যায়, এককভাবে শুধু সৌদি আরবেই আছেন ২০ লাখ বাংলাদেশি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছেন অন্তত ১৫ লাখ। এছাড়া কাতার, কুয়েত, ওমান, বাহরাইনে গড়ে তিন থেকে চার লাখ বাংলাদেশি আছেন। করোনা সমস্যার পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দাম একেবারেই কমে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে নানা সংকট তৈরি হয়েছে। এছাড়া করোনার কারণে সংকটে আছেন মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে থাকা কর্মীরাও।

আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে করোনা পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত চাহিদা অনুযায়ী পুনঃপ্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ফেরত আসা কর্মীদের পুনরায় বিদেশ পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বলেন, ‘বিরূপ পরিস্থিতিতে ঝুঁকি কমানোর জন্য ভবিষ্যতে দক্ষ কর্মী পাঠানোর ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে।’ এছাড়াও তিনি মনে করেন, বিদেশফেরত কর্মীরা অভিজ্ঞতার বিবেচনায় দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য।

সানবিডি/এনজে