নোয়াখালী-জামালপুরের গ্যাস কূপ খনন করবে বাপেক্স

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৮-১১ ১৪:৩৮:৩৬


সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল করে অবশেষে বিদায় নিয়েছে আজারবাইজানের গ্যাস উত্তোলন কোম্পানি ‘সকার’ (স্টেট অয়েল করপোরেশন অব আজারবাইজান)। ফলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ-৪ এবং জামালপুরের মাদারগঞ্জ-১ এই গ্যাস কূপ দুটি খনন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।

জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাপেক্সের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তিনটি কূপ খননের কথা ছিল সকারের।  কিন্তু নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সময় ব্যয় করে তারা মাত্র একটি কূপ (খাগড়াছড়ির সেমুতাং গ্যাসক্ষেত্র) খনন করেছে।  সেখানে তারা কোনো ধরনের গ্যাসের সন্ধান পায়নি।  এরপর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এবং জামালপুরের মাদারগঞ্জে কূপ খননের জন্য কোম্পানিটি চুক্তিবদ্ধ ছিল। কিন্তু এই দুটি কূপ খনন না করেই চুক্তি বাতিলের জন্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে কোম্পানিটি।  চুক্তি বাতিল করার আবেদনে কারণ হিসেবে বিল পরিশোধে বিলম্বের অজুহাত দেখায় ‘সকার’।

যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি কাজ না করার অজুহাত।  এখন বাপেক্স কূপ খনন করতে গেলে সকারের সঙ্গে বিরোধ মীমাংসা করা হবে। এজন্য ওই কোম্পানির পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে পেট্রো বাংলার একটি কমিটি কাজ শুরু করেছে।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, সকারের সঙ্গে ৩৩ মিলিয়ন ডলারে তিনটি কূপ খনন করার চুক্তি করেছিল বাপেক্স।  সেমুতাং কূপের জন্য সকারকে আগেই ১১০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়।  বাকি দুটি কূপ খননের কাজে তারা হাত দেয়নি।  কিন্তু বেগমগঞ্জ কূপটি খননের প্রস্তুতিমূলক কিছু কাজের জন্য সকার আরও ৫০ কোটি ডলার দাবি করে।  বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও এখনো সমাধানে আসা যায়নি।  বিষয়টির সমাধান হলেই কাজ শুরু করতে পারেব বাপেক্স।

সম্প্রতি বাপেক্সের বোর্ড সভায় বেগমগঞ্জ এবং মাদারগঞ্জ কূপ নিজেরা খনন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমান বলেন, নোয়াখালী ও জামালপুরের কূপগুলো এখন বাপেক্স খনন করবে। এগুলো খনন করার কথা ছিল সকারের।  তাদের সঙ্গে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরু করবে বাপেক্স।