মানুষের কল্যাণে সবটুকু সাধ্য দিয়ে কাজ করবো: প্রধানমন্ত্রী

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৮-১৪ ১৩:৫৭:৪২


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিক স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তিনি একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চেয়েছিলেন। এদেশকে করতে চেয়েছিলেন সোনার বাংলা। ঘাতকরা তাকে সে সময় দেয়নি। কিন্তু আমি আমার সবটুকু সাধ্য দিয়ে কাজ করে যাবো তার সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে, যাতে তার আত্মা শান্তি পায় এবং রক্ত বৃথা না যায়।’

আজ শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সকালে ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে ইতোমধ্যে সম্পন্ন ৫০ হাজার বার পবিত্র কোরআন খতম এবং বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এই কথা বলেন।

এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা ঘৃণ্য। ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে দিয়ে তাদের বিচার করতে পেরেছি। এতে আল্লাহর কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া আদায় করি। কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের মানুষকে, যারা আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমার দল আওয়ামী লীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের পাশে থেকে কার্যত আমার পাশে থেকেই আমাকে শক্তি জুগিয়েছেন একটা পরিবারের মতো।’

অনুষ্ঠানে শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির জনকের আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন তার বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা, নিজের ছয় বছর নির্বাসিত জীবন এবং দেশে ফেরার পর প্রতিকূল পরিস্থিতিও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘মানুষ একটা শোক সইতে পারে না। আর আমরা কী সহ্য করে আছি। শুধু একটা চিন্তা করে যে, এই দেশটা আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন করেছেন। তিনি এদেশের দুখী মানুষের মেুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। তাদের মুখে যাতে খাবার থাকে, যাতে তারা সুখে-শান্তিতে থাকে, খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসা পায়। পাশাপাশি বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ যেন স্বমহিমায় উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। আর সেজন্য তিনি সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। ত্যাগ ও শ্রমে তার স্বপ্নের প্রাথমিক বাস্তবায়ন করেছেন দেশ স্বাধীন করে। কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী তাকে সম্পূর্ণ লক্ষ্য পূরণের আগেই সপরিবারে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।’ এদেশে যাতে আর এমন নির্মম-নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড না ঘটে সে ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় তিনি নিজে (শেখ হাসিনা) কাজ করছেন বলে জানান।

এ অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সমাজসেবা অধিদফতর প্রান্তে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ উদ্দিন খান খসরু এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জয়নুল বারীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।