পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা আনতে বিএসইসির সাথে মিলে কাজ করবে ডিবিএ
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-০৮-১৭ ০৮:৩৫:১৬
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) মনে করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পুঁজিবাজারের বিষয়ে আস্থা ফিরে আসছে। যার প্রভাব পড়ছে প্রতিদিনের লেনদেনে। এই ধরা অব্যাহত রাখার জন্য বিএসইসির সাথে তাল মিলিয়ে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যেও সুশাসন প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করার জন্য কজ করতে হবে।
আজ রবিবার ডিবিএ এর সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিদের এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এমন কথা বলেন তারা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, করোনা (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে বন্ধ থাকায় পুঁজিবাজার অনেক খারাপ অবস্থায় চলে গিয়েছিল। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখায় একটি ভালো অবস্থানে উঠে এসেছে। বর্তমান অবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যেও সুশাসন প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিবিএ সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, সমস্যা ও সমাধান নিয়ে গত মে মাসে ডিবিএ ব্রোকার কমিউনিটির সঙ্গে আলোচনা করে। এরমধ্যে জুন ও জুলাই মাস সংকটের মধ্য দিয়ে গেলেও আগস্ট মাসে বাজার একটি অবস্থানে এসেছে। এই অবস্থানে আসার পেছনে রয়েছে বিএসইসির সুশাসনে জোরদার।
তিনি বলেন, বিএসইসির সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যে নিজেরাই সুশাসন জোরদার করা নিয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে। যাতে ব্রোকারেজ হাউজে কোন ঘাটতি না থাকে। এর আগে ব্রোকারেজ হাউজের সুশাসনের ঘাটতির কারনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরী হয়েছে। তবে আগামিতে আমরা সেই সংকট দেখতে চাই না। তাই সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকেও ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সব জায়গা থেকে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনে কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এটা ওয়েববেজড করতে পারলে বিনিয়োগকারীরা যেখান-সেখান থেকে লেনদেন করতে পারবে। কমিশনও তথ্য প্রযুক্তি খাতে উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। এছাড়া ডিএসইও এ নিয়ে কাজ করছে।
লেনদেন সহজলভ্য করতে পারলে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। এতে করে ব্রোকারেজ হাউজ ও ডিএসইর আয় বাড়বে। যাতে করে ডিএসই শেয়ারহোল্ডারদেরকে বেশি করে লভ্যাংশ দিতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, বিএসইসির নতুন নেতৃত্ব কথার চেয়ে কাজ বেশি করছে। যার ইতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়ছে। অনেকদিন ধরে আলোচনা হওয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরি সমাধানেও এই কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।