বে-মেয়াদী মিউচ্যুয়াল ফান্ড কিনতে পারবে প্রবাসী ও বিদেশীরা

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৮-২১ ১০:৫০:০৭


পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ সহজ করতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।এখন থেকে বে-মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন প্রবাসী ও বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। নন রেসিডেন্ট ইনভেস্টরস টাকা অ্যাকাউন্ট (নিটা) হিসাবের মাধ্যমে তারা এই বিনিয়োগ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে অনিবাসী বিনিয়োগকারীদের মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার জন্য অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসি সূত্র মতে, এতোদিন প্রবাসীরা ও বিদেশী বিনিয়োগকারী তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে সহজে বিনিয়োগ করতে পারতো। একই সাথে সহজে তারা মুনাফার অংশ ফেরত নিতে পারতো। এ ক্ষেত্রে বে-মেয়াদী মিউচ্যুয়াল ফান্ডে কিছু বাধা নিষেধ ছিলো। এখন থেকে সহজেই বে-মেয়াদী মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে বিদেশী পোর্টফোলিও বিনিয়োগ বাড়াতে নিটা অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ বে-মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনার ক্ষেত্রে ব্যয় করা যাবে। এক্ষেত্রে ফান্ডটিকে বিএসইসির অনুমোদিত হতে হবে। অনিবাসীসহ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিপরীতে শেয়ার ইস্যুর ১৪ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগকে অবহিত করতে হবে। প্রযোজ্য কর পরিশোধ ও কর্তনের পর নিটা অ্যাকাউন্টে লভ্যাংশ আয়ের অর্থ জমা রাখা যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে নিটা অ্যাকাউন্টে মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট বিক্রির অর্থ জমা রাখা যাবে। যদি সংশ্লিষ্ট ফান্ডের ব্যবস্থাপক সাপ্তাহিক নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) প্রকাশের ক্ষেত্রে অধারাবাহিক হয় কিংবা অতালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে ৩০ শতাংশ বা এর বেশি বিনিয়োগ থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগে আবেদনপত্রসহ বিএসইসির লাইসেন্সপ্রাপ্ত মার্চেন্ট ব্যাংক কিংবা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের মাধ্যমে ভ্যালুয়েশন প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দিতে হবে।

অন্যান্য ক্ষেত্রে ফান্ডে প্রকৃত মূল্যের বিষয়ে ট্রাস্টির সুপারিশপত্র জমা দিতে হবে। অনিবাসীদের লভ্যাংশ আয় কিংবা ইউনিট বিক্রির অর্থ তাদের আত্মীয়স্বজনদের (বাংলাদেশী নাগরিক) অনুকূলে হস্তান্তর করা যাবে তবে এক্ষেত্রে ফান্ড ম্যানেজারের মাধ্যমে ইউনিটহোল্ডারদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। অবশ্য ইউনিট বিক্রির অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করলেই হবে।

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন

ক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজ