দিনাজপুরে গো-খাদ্যের সংকট

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২০-০৮-২৫ ১১:৪২:৫৬


অতিবৃষ্টি এবং বন্যার কারণে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য বেড়েছে দাম। গরুর প্রধান খাদ্য খড় প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।

এ বছর ব্যাপক বর্ষণ এবং কয়েক দফার বন্যায় বিভিন্ন জেলা প্লাবিত থাকায় এবং ধানসহ ফসল নষ্ট হওয়ায় গবাদি পশুর খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

হাকিমপুরের হিলির সাতনি বাজারে গরুর খামারি মাহফুজার রহমান বাবু জানান, তিনি নয় বছর ধরে গরুর খামার করছ্নে, খড়ের এত দাম এর আগে দেখেননি। তার খামারে বিদেশি জাতের ৭৯টি গরু রয়েছে। কৃষকের কাছ থেকে ছোট-বড় চারটি খড়ের পালা দুই লাখ টাকায় কিনেছেন।

তিনি আরও জানান, বন্যার কারণে কৃষকের ধান নষ্ট হয়ে গেছে। খড় পচে নষ্ট হয়েছে। যার কারণে চাহিদার তুলনায় খড় কম পাওয়া যাচ্ছে।

হিলি, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ও ঘোড়াঘাট উপজেলার গ্রামাঞ্চলের কৃষকের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা খড়ের পালা কেনেন। সেই পালা থেকে ভ্যান বোঝায় করে বন্যা প্লাবিত গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও চরাঞ্চলে নিয়ে বেশি দামে খড় বিক্রি করছেন। বন্যায় গাইবান্ধায় আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

খড় ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া জানান, তারা চারজন একসঙ্গে খড়ের ব্যবসা করেন। গ্রামে ঘুরে গৃহস্থের কাছ থেকে খড়ের পালা কেনেন। হিলির জাংগই গ্রামে ৪ হাজার টাকায় একটি খড়ের পালা কেনেন। সেই পালার খড় চারটি ভ্যান বোঝায় করে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায নিয়ে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

হিলির খড় ব্যবসায়ী ফিরোজ হোসেন জানান, ৭ থেকে ৮ টাকা দরে প্রতি আটি খড় কিনে ৯ টাকায় বিক্রি করছেন। এভাবে তিনি প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২০ আটিঁ খড় বিক্রি করেন।

হিলির বাসিন্দা গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন জানান, তিনি এবার ৭ বিঘা আমন ধানের খড় পেয়েছেন। তাতে দুটি পালা হয়েছে। প্রতি পালা ৯ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, অন্য বছরের চেয়ে এবার খড়ের চাহিদা বেশি। সঙ্গে দামও।

সানবিডি/আরএম/ ১১:৪২/২৫/৮/২০