দেশে করোনা সংকট
তিন বছরে ১১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৮-২৮ ০৮:০৭:৪৬
বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আগামী তিন বছরের ঋণ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ২০২১ থেকে ২০২৩ মেয়াদে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে সংস্থাটি। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে এ কর্মসূচি তৈরি করেছে সংস্থাটি। বাংলাদেশের জন্য নতুন কান্ট্রি অপারেশন বিজনেস প্ল্যান (সিওবিপি) উদ্ধৃত করে বৃহষ্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এডিবি।
সিওবিপিতে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন কর্মসূচি, জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি সহনীয় করা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি, স্টার্টআপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড তৈরি, এসএমই খাতের উন্নয়ন, শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য শিক্ষা সহায়তা, কম্পিউটার ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রকল্প, ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প, চট্টগ্রাম ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প, কোস্টাল টাউন ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্প, সেকেন্ডারি টাউনস ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্প, সাসেক ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিয়েশন প্রোগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রোড প্রজেক্ট, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন ডুয়াল গেজ প্রকল্প, ঢাকা-কুমিল্লা কর্ড লাইন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন, ধীরাশ্রম ইনল্যান্ড কনটেইনার
এডিবির এ অর্থ সহায়তা ডিপো প্রকল্প ও রোড সেফটি প্রকল্পসহ আরো কয়েকটি প্রকল্পে দেয়ার কথা জানিয়েছে ।
এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২১-২৩ সময়ের মধ্যে ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার ফার্ম এবং ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার স্ট্যান্ড প্রকল্পে সহায়তার জন্য এ ঋণ দেয়া হবে। এর বাইরে আরো ৩৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার দেয়া হবে টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স কর্মসূচির জন্য। বাংলাদেশ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার খসড়ার মূলনীতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে এডিবির ২০৩০ কৌশলপত্রের সঙ্গে সংগতি রেখেই তহবিল বরাদ্দের এ পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
এডিবির ঋণ সহায়তার ফার্ম প্রজেক্টের ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার নিশ্চিতভাবে পাবে বাংলাদেশ। এগুলো সরকারকে নিশ্চিত করা হয়েছে, সরকারও নিশ্চিত করেছে। স্ট্যান্ডবাই প্রজেক্টে একটা অতিরিক্ত তালিকা রাখা হয়, যদি ফার্ম প্রজেক্ট থেকে কোনোটা না হয় বা ফেল করে, তখন স্ট্যান্ডবাই প্রজেক্টের তালিকা থেকে করা হবে। আর টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্সের অর্থ বিভিন্ন ক্যাপাসিটি তৈরির জন্য, লার্নিং এক্সপেরিয়েন্সের জন্য ব্যবহার হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ বলেন, নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা আমাদের পার্টনারশিপে তাত্ক্ষণিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, অর্থনীতিকে গতিশীল করা ও প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এডিবির ঋণ কর্মসূচিগুলো সমন্বয় করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়ন, পানি ও স্যানিটেশন, আর্থিক খাতসহ অন্যান্য খাতের জন্য আরো সহায়তা দেয়া হবে। জলবায়ু, জেন্ডার ও সুষম আঞ্চলিক উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো আমাদের কর্মসূচিতে প্রাধান্য পাবে। বাংলাদেশের বেসরকারি খাত, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্প এবং বন্ড মার্কেটের উন্নয়নেও এডিবির সহায়তা বাড়ানো হবে।
এর আগে ২০১৮-২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য সিওবিপি তৈরি করেছিল এডিবি। গত ৪৭ বছরে এডিবি বাংলাদেশকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন, জনসেবা ও সামাজিক উন্নয়নে এডিবি বাংলাদেশে কাজ করে আসছে। বর্তমান পোর্টফোলিও অনুযায়ী, এডিবি বাংলাদেশে ১১ বিলিয়ন ডলারের ৪৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
সানবিডি/এনজে