যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি বিলম্বেও এলএনজির দাম কমল এশিয়ায়

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৮-৩১ ০৮:১০:৩১


প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) রফতানি বাজার স্থবির হয়ে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে সচরাচর এশিয়ার বাজারগুলোতে সাধারণত জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা বেড়ে দাম বাড়তির দিকে থাকে। তবে সর্বশেষ সপ্তাহে বাজারে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। এ সময় এশিয়ার বাজারে জ্বালানি পণ্যটির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় কমে এসেছে। এর মধ্য দিয়ে করোনা মহামারীর শুরুর পর সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে নেমে এসেছে এলএনজির দাম। খবর রয়টার্স ও বিজনেস লাইন।

উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় সর্বশেষ সপ্তাহে অক্টোবরে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (২৭ দশমিক শূন্য ৯৬ ঘনমিটার) এলএনজির দাম দাঁড়িয়েছে ৪ ডলার শূন্য ৫ সেন্টে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে জ্বালানি পণ্যটির দাম কমেছে ৫ সেন্ট। ওই সময় প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট এলএনজি ৪ ডলার ১০ সেন্টে বিক্রি হয়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী ঘোষণার পর এটাই ছিল জ্বালানি পণ্যটির সর্বোচ্চ দাম।

এ ব্যাপারে খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলএনজির দাম করোনাকালের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কমে আসা সাময়িক ঘটনা। আগামী দিনগুলোয় এশিয়ার বাজারে জ্বালানি পণ্যটির দাম বাড়তে পারে। এর পেছনে অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোর উষ্ণ আবহাওয়া।

এসব দেশে তাপমাত্রা আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় এলএনজির চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর জের ধরে করোনা মহামারীর শুরুর সময়ের তুলনায় চাঙ্গা হতে শুরু করেছে জ্বালানি পণ্যটির বাজার পরিস্থিতি।

এদিকে শক্তিশালী হারিকেন লরা যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস-লুইজিয়ানা উপকূলে আঘাত হেনেছে । এ অঞ্চলটিতে আঘাত হানা হারিকেনগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী। প্রতিকূল আবহাওয়ার জের ধরে টেক্সাস-লুইজিয়ানা উপকূল থেকে এলএনজির রফতানি চালান স্থবির হয়ে এসেছে। বৃহস্পতিবার এ উপকূল থেকে জ্বালানি পণ্যটির রফতানি একদিনে ২১০ কোটি ঘনফুট কমেছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির পর এটাই টেক্সাস-লুইজিয়ানা উপকূল থেকে জ্বালানি পণ্যটির রফতানি কমার সর্বোচ্চ পরিমাণ।