জেড ক্যাটাগরিতে যাবে ৬ কারণে
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-০৯-০২ ০৭:১৭:২১
পুঁজিবাজারে মন্দ শেয়ার হিসেবে পরিচিত জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোতে সুশাসন ফেরানোর চেষ্টা করছে নতুন কমিশন। এর জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশনের ৭৩৫তম সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর একটি নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। অন্যদিকে সার্বিক পরিস্থিতি ও পরিচালনা পর্ষদের পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
বিএসইসির সূত্র মতে, ৬টি কারণে জেড ক্যাটাগরিতে থাকবে মন্দ শেয়ারগুলো। কারণগুলো হলো –
১ .পরপর দুই বছরের মধ্যে নগদ লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হলে।
২. পরপর দুই বছর বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করতে ব্যর্থ হলে
৩. ছয় মাস বা বেশি সময় কোম্পানি উৎপাদন বা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে।
৪.পরপর দুই বছর নিট কার্যকর লােকসান অথবা পরিচালন নগদ প্রবাহ ঋণাত্মক থাকলে।
৫. তালিকাভুক্ত কোম্পানির পুঞ্জীভূত লোকসান তার পরিশোধিত মূলধনকে অতিক্রম করলে।
৬. কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের জন্য কমিশনের অনুমতিক্রমে স্টক এক্সচেঞ্জ ‘জেড’ গ্রুপে স্থানান্তর করতে পারবে।
যে কারণে পুনর্গঠন করা হবে ‘জেড’ গ্রুপের কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ:
লক্ষ্যে নেয়া সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১.বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া জেড গ্রুপে থাকা কোম্পানির স্পন্সর (উদ্যোক্তা) ও বর্তমান পরিচালকরা তাদের ধারণ করা শেয়ার বিক্রয়, ক্রয়, হস্তান্তর এবং প্লেজ করতে পারবেন না।
২. ‘জেড’ গ্রুপে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর ছয় মাসের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে হবে।
৩. সকল ধরনের শেয়ার হোল্ডার মিটিং (এজিএম/ইজিএম) ই-ভোটিং/অনলাইন ভোটিংয়ের সুবিধা দিয়ে ডিজিটস প্লাটফর্মে অথবা হাইব্রিড সিস্টেমে করতে হবে।
৪. ‘জেড’ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে চলমান বোর্ড পুনর্গঠন করতে হবে। ব্যর্থ হলে বর্তমান পরিচালক ও স্পন্সররা অন্যকোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী কোন কোম্পানির পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না।
৫. কমিশন এ ক্ষেত্রে বিশেষ নিরীক্ষক ও কমিশন কর্তৃক পর্যবেক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে বোর্ড পুনর্গঠন করে ‘জেড’ গ্রুপে কোম্পানির সুশাসন নিশ্চিত করবে।
৬. পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ চার বছরের মধ্যে কোম্পানির সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হলে স্টক এক্সচেঞ্জ ওই কোম্পাননিকে তালিকাচ্যুতিসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।