কুমিল্লা-সোনামুড়া নৌপথে ১০ টন সিমেন্টের প্রথম চালান

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৯-০৫ ২২:২১:৫২


প্রথমবারের মতো কুমিল্লা বিবিরবাজার সীমান্ত দিয়ে কুমিল্লা-ভারতের সোনামুড়া নৌপথে পণ্য পরিবহন চালু হয়েছে। শনিবার গোমতী নদীপথে ১০ টন সিমেন্ট নিয়ে একটি বার্জ ভারতের সোনামুড়া যায়।

দুপুরে কুমিল্লা বিবিরবাজার স্থলবন্দর এলাকায় এ পথের উদ্বোধন করে নৌযানটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত নৌবাণিজ্যের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। তবে গোমতী নদীতে ন্যাব্য সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ের ৪ ঘণ্টা বিলম্বে সিমেন্টের প্রথম চালানটি ভারতের সোনামুড়া যায়।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, গোমতী নদীর ১২-১৪টি পয়েন্টে ন্যাব্যতা সংকট দূরীকরণসহ নদীপথে সব প্রতিবন্ধকতা নিরসন করে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এসব কাজ সম্পন্ন হলে এ পথটি সক্ষম নৌবাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।

জানা গেছে, কুমিল্লার দাউদকান্দি, তিতাস, মুরাদনগর, দেবিদ্বার, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া ও আদর্শ সদর উপজেলার বুক চিড়ে বয়ে গেছে গোমতীর ৯২ কিলোমিটার নৌপথ। এর মধ্যে প্রায় ৮৯.৫ কিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে এবং অপর অংশ ভারতের ত্রিপুরা এলাকায়।

শনিবার এ নদী দিয়ে দাউদকান্দি থেকে নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে ১০ টন সিমেন্ট বোঝাই চালান পাঠানো হয় ভারতের ত্রিপুরায়। জানা গেছে, শুরুতে নদীর নাব্যতা কম থাকায় সিমেন্ট বোঝাই জাহাজটি পথিমধ্যে ১২-১৪টি পয়েন্টে নাব্যতা সংকট ও গভীরতা কম থাকা এবং কম উচ্চতাসম্পন্ন ব্রিজ থাকায় আটকে যায়।

বেলা ১১টার দিকে উদ্বোধনের কথা থাকলেও নাব্যতা সংকটের কারণে আটকে যাওয়ায় প্রায় ৪ ঘণ্টা পর বিকেল ৩টার দিকে সিমেন্টের প্রথম চালানটি সোনামুড়া পৌঁছায়।

এদিকে বাংলাদেশ থেকে নদীপথে রফতানি হওয়া মালামালের চালান গ্রহণের জন্য সোনামুড়ায় একটি ভাসমান জেটি নির্মাণ করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের সোনামুড়া এলাকায় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এসময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক, শিল্প সচিব কিরণ গীত্তা, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ক্রিটি চাকমা প্রমুখ।

বাংলাদেশ অংশে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বিবিরবাজার স্থলবন্দর এলাকায় বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক।

বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আজিম উল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-এ সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন, কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. আনোয়ারুল হক, বিবিরবাজার সিঅ্যান্ডএফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল পাল প্রমুখ।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী বিবিরবাজার স্থলবন্দরে পৌঁছান। পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত নদীপথে বাণিজ্যের বিষয়টি গত মে মাসে ঢাকায় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। এর মধ্যে একটি ভারতের ধুলিয়ানের সাথে রাজশাহী এবং অপরটি হচ্ছে দাউদকান্দি থেকে ভারতের সোনামুড়া।