বেসরকারি পাটকলগুলোও বন্ধের শঙ্কায়

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৯-০৯ ১৯:৪৮:২৭


দেশে পাটের উৎপাদন ‍আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়া এবং কাঁচা পাট বিদেশে রফতানি হয়ে যাওয়ার কারণে এবার সরকারি পাটকল করপোরেশনের পর বেসরকারি পাটকলগুলোতেও বন্ধের ঘণ্টা বাজছে। উৎপাদক এবং রফতানিকারকরা বলছেন, পাঁচ কারণে এবার পাট উৎপাদন আগের মতো হয়নি। উৎপাদন কম হওয়ার পরও যদি সেই কাঁচা পাট রফতানির মুখে পড়ে তাহলে ১২ মাস মিল চালানো অসম্ভব হয়ে যাবে। তাদের দাবি, পৃথিবীর আর কোনও দেশ কাঁচা পাট বিক্রি করে না—এ কারণেও কাঁচা পাট বিক্রিতে নিরুৎসাহিত করা উচিত। কাঁচা পাট না পাওয়ায় বিদেশ থেকে আমদানি করেও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পাটকল চালু রাখতে পারবেন না

বাংলাদেশ জুটমিলস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পাট বিষয়ক কমিটির প্রাক্কলন অনুযায়ী, এ বছর কাঁচা পাটের উৎপাদন ন্যূনতম ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ কম হবে। তাদের হিসাবে, বিজেএমসি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও এ বছর পাটের দাম বেশি। কাঁচা পাটের সরবরাহ ও চাহিদার ব্যাপক তারতম্যের কারণে পাটের দাম এত বেশি এবং তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

যে সকল কারণে পাট উৎপাদন ‍ভালো হয় নি

করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে শ্রমিকের অভাবে পাটক্ষেতে দুবার নিড়ানি দিতে না পারা, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে ২০/২৫ দিন বৈরী আবহাওয়া থাকায় পাট লম্বা ও মোটা হতে পারেনি। উপরন্তু আগাম বন্যায় উত্তরবঙ্গে ক্ষেতের কাঁচা পাট ডুবে গেছে। বন্যার কারণে আগাম পাট কেটে ফেলতে হওয়ায় পাট গাছের বৃদ্ধি প্রায় ২.৫ ফুট কম হয়েছে।

বেসরকারি পাটকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুটমিলস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ও পাট রফতানিকারক এ বারিক খান বলেন, পাঁচ কারণে পাটের উৎপাদন কম। বছরের শুরুতে শিলাবৃষ্টির ফলে ফরিদপুর এলাকার পাট নষ্ট হয়েছে। এরপর আছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। সেটির কারণে পাট শুয়ে পড়েছিল। এরপর বন্যায় পাট ডুবে গেছে। ফলে যতটা লম্বা হওয়ার কথা তা হতে পারেনি। আর সর্বশেষ করোনার ছোবলের কারণে ঠিক সময়ে শ্রমিক পাওয়া যায়নি। ভারত থেকে উন্নত বীজ না আনতে পারাকেও এর অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজেদের বীজ দিয়ে উৎপাদন করায় উন্নত জাতের পাট এ বছর পাইনি।

সানবিডি/এনজে