ডিএসসিসির অভিযানে ১১ মামলা, অর্ধলক্ষাধিক টাকা জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২০-০৯-১৩ ১৯:১০:২১
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অবৈধ ক্যাবল অপসারণ ও এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে ভ্রাম্যমান আদালতগুলোর অভিযান চলমান রয়েছে।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ২৩তম দিনে নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ওয়ারী ও দয়াগঞ্জ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা-দোকানপাট ও অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করা হয়েছে।
ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত ঠাটারী বাজার, জয়কালী মন্দির, ওয়ারী ও বঙ্গভবনের দক্ষিণ পাশের ফুটপাতে উপর অবস্থিত অস্থায়ী টং দোকান ও ইলেকট্রিক পোল হতে অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করেন।
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সময় ১০টি ইলেকট্রিক পোল হতে সকল অবৈধ ক্যাবল অপসারণ ও ফুটপাতের উপর অবস্থিত অবৈধ ২৫টি অবৈধ টং দোকান উচ্ছেদ করে ফুটপাত দখলমুক্ত করেন।
এ সময় তিনি সিটি কর্পোরেশন (স্থানীয় সরকার) আইন, ২০০৯ এর ৭ ধারা মোতাবেক ৩টি মামলা দায়ের ও ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
একই সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ দয়াগঞ্জে ড্রেনের উপর নির্মিত ৬টি অবৈধ স্থায়ী পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ১০টি ইলেকট্রিক পোল হতে অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত সিটি কর্পোরেশন (স্থানীয় সরকার) আইন, ২০০৯ এর ৭ ধারা মোতাবেক ৬টি মামলা দায়ের ও ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এদিকে, মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে আজ ১৯তম দিনে কর্পোরেশনের ১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অঞ্চল- ১ এর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রমনা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ ফয়সালের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সময় ২৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে দুটি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় দুটি মামলা দায়ের ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অবৈধ স্থাপনা-দোকানপাট উচ্ছেদ, ক্যাবল অপসারণ এবং মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো সর্বমোট ১১টি মামলা দায়ের ও নগদ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সানবিডি/আরএম/১৯.১০/১৩/৯/২০