যে অাশায় বিপিএলে পাকিস্তানি খেলোয়াররা !

প্রকাশ: ২০১৫-১২-১৫ ১৯:৩৯:২৪


uiQtlmnf8X6m-765x510বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে হতাশ পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। দীর্ঘদিন বাংলাদেশে অবস্থান করেও অধিকাংশ খেলোয়াড়ই খুব কম ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তাতে অনেকের সময় নষ্ট হয়েছে। অনেকে বিপিএল থেকে জাতীয় দলের নির্বাচকদের আকৃষ্ট করতে চেয়েছেন। সেসব আশা পূরণ না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের অনেক ক্রিকেটার। ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই এক প্রতিবেদনে এমনটিই উল্লেখ করা হয়েছে।

মোট ১৭ জন পাকিস্তানী ক্রিকেটার বিপিএলে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। খেলার জন্য নিয়মিত মাঠে নামতে পেরেছেন চার থেকে পাঁচজন। বাকিরা খুব কম ম্যাচই খেলার সুযোগ পেয়েছেন। চিটাগাং ভাইকিংসে চুক্তিবদ্ধ মোহাম্মদ আমির বিপিএলটা দারুণ উপভোগ করেছেন। নিষেধাজ্ঞা কাটানোর পর এটিই ছিল আমিরের বড় কোনো টুর্নামেন্ট। যেখানে ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে ইতোমধ্যে জাতীয় দলের নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

এর বাইরে নিয়মিত খেলেছেন ফাইনালিস্ট বরিশাল বুলসে খেলা পেসার মোহাম্মদ সামি ও সিলেট সুপারস্টারসের শহীদ আফ্রিদি। সিলেটের হয়ে সোহেল তানভিরও খেলেছেন নিয়মিত। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ফাইনালে ওঠলেও শেষ দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি শোয়েব মালিক। যদিও দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তিনি আঙুলে চোট পেয়েছেন। এর বাইরে আহমেদ শেহজাদ কুমিল্লার হয়ে খেলেছেন নিয়মিত।

পাকিস্তানের বাকি ক্রিকেটাররা বিপিএল নিয়ে হতাশ। বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেও খেলতে না পারাকে সময়ের অপচয় বলেও আখ্যা দিয়েছেন অনেকে। রংপুর রাইডার্সে খেলা পাকিস্তানের টেস্ট দলের অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক শেষ সাত ম্যাচে ছিলেন একাদশের বাইরে। দলটিতে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবীর মতো ক্রিকেটার খেলানো হলেও মিসবাহকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

এ নিয়ে হতাশ মিসবাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি খুব বেশি কিছু বলব না। আমি মনে করি এ বিষয়ে দলের মালিক ও কোচই ভাল বলতে পারবেন। তবে দীর্ঘ সময় বেঞ্চে বসে থাকাটা খুব সহজ কাজ নয়।’ বিশেষ করে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে নকআউটপর্বের ম্যাচে তাকে না নেওয়ায় আশ্চর্য হয়েছেন মিসবাহ।

একই ধরনের অভিযোগ কামরান আকমল, সাঈদ আজমল, উমর আকমল ও ওয়াহাব রিযাজের। কামরান বলেছেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক ও ম্যানেজম্যান্টকে স্পষ্ট করে জানিয়েছিলাম আমি বিপিএলে ওপেন করতে চাই। মাত্র দুই ম্যাচ পরই এ নিয়ে আর কোনো জবাব আমি পাইনি। এখানে শুধু টাকার জন্য খেলতে আসিনি। আশা ছিল বিপিএলে পারফর্ম করে জাতীয় দলের নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে।’

পেসার ওয়াহাব রিয়াজ মাঝ পথে ফিরে যাওয়াকেই যথার্থ মনে করছেন। তার মতে ঢাকায় বেঞ্চে বসে থাকার চেয়ে লাহোরে হাটাহাটি করাও ভাল। তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ ম্যাচে যখন সাইডলাইনে রাখা হয় তখন বিষয়টা মেনে নেওয়া কঠিন।’

ওয়াহাব রিয়াজ ডিসেম্বরের ১ তারিখে বিপিএলে খেলতে যোগ দিয়েছিলেন। পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সিরিজের পর শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, আহমেদ শেহজাদ, ওমর আকমল, সোহেল তানভির ও মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে একইসমযে তিনি ঢাকায় আসেন। ফাস্ট বোলার সোহাইল খানও ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে তিন সপ্তাহ ঢাকায় অবস্থান করে মাত্র এক ম্যাচ খেলেছেন। আর সাঈদ আজমল দুই ম্যাচ খেলেই ছিটকে পড়েন সাইডলাইনে।

উল্লেখ্য, বিপিএলের প্রথম আসরে পাকিস্তানী খেলোয়াড়রা অংশ নিয়েছিলেন। তবে সেসময় ঠিকমতো টাকা পরিশোধ করা হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেছিলেন। দ্বিতীয় আসরে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর বাতিলের প্রেক্ষিতে বিপিএলে খেলোয়াড় পাঠায়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

সানবিডি/ঢাকা/রাআ