সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে টানা উচিত নয়: পাকিস্তানি সেনাপ্রধান
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৯-২২ ১৯:০০:০১
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া পার্লামেন্ট নেতাদের পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর রেষারেষিতে সেনাবাহিনীকে টেনে নেয়া উচিত নয়। দেশের কোন রকম রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত নয় সেনাবাহিনী। তবে প্রয়োজন হলে বেসামরিক সরকারের পাশে দাঁড়াবে তারা। গত সপ্তাহে পার্লামেন্টের নেতাদের সঙ্গে তার এক বৈঠকে এমন আলোচনা হয়েছে। সিনিয়র এক সেনা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। এতে বলা হয়, অন্য বিভিন্ন ইস্যুর সঙ্গে গিলগিট-বাল্টিস্তানের প্রশাসনিক বিষয় ও ন্যাশনাল একাউন্টেবলিটি ব্যুরোর (এনএবি) ভূমিকা নিয়ে সেনাপ্রধান কমর জাভেদ বাজওয়া এবং ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফায়েজ হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হন পার্লামেন্টারি নেতারা। সূত্রের মতে, এতে উপস্থিত ছিলেন পিএমএলএনের শাহবাজ শরীফ, খাজা আসিফ ও আহসান ইকবাল।
অন্যদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, শেরি রেহমান প্রমুখ। সূত্র বলেছেন, গিলগিট-বাল্টিস্তানকে নতুন প্রদেশ ঘোষণার জন্য বৈঠকে একমত হয়েছেন সবাই। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ সোমবার একটি বেসরকারি নিউজ চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে এই বৈঠকের কথা নিশ্চিত করেছেন। বলেছেন, গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বৈঠক। মন্ত্রী বলেছেন, বিরোধী দলীয় এসব প্রতিনিধিকে সেনাপ্রধান এটা পরিষ্কার করে বলেছেন যে, সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে টেনে আনা উচিত হবে না। এনএবি চেয়ারম্যান বা প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়ে সেনাবাহিনীর কিছুই করার নেই। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক বিষয়। রোববার সর্বদলীয় কনফারেন্সে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ অগ্নিঝরা বক্তব্য রেখেছেন। এ বিষয়ে রশিদ বলেন, দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজের রাজনৈতিক অধ্যায় বন্ধ করে দিয়েছেন নওয়াজ শরীফ। তার বক্তব্য শাহবাজ শরীফের মিশনকে ডুবিয়ে দেবে। পিএমএএলএনের ভিতরেই ফাটল দেখা দেবে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন