ইসরাইল ইস্যুতে জাতিসংঘের কঠোর সমালোচনা কাতার আমীরের
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২০-০৯-২৪ ০৯:৩৮:১৪
চলমান জাতিসংঘের সাধরণ পরিষদের অধিবেশেনে ইসরাইল ইস্যু নিয়ে কঠোর অবস্থানের জানান দিয়েছেন কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ফিলিস্তিনি ও আরব ভূখণ্ডের অব্যাহত দখল এবং ইসরাইল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মতির ভিত্তিতে তৈরিকৃত প্রস্তাবনা এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন তিনি।
এসময় শেখ তামিম বলেন, ইসরাইলের আগ্রাসন, ফিলিস্তিনি ও আরব ভূখণ্ডের অব্যাহত দখল, গাজা উপত্যকায় অবরোধ এবং বসতি সম্প্রসারণ নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
তিনি বলেন, কেবল তখনই শান্তি অর্জন করা সম্ভব, যখন আরব পিস ইনিশিয়েটিভের ভিত্তিতে আরব দেশগুলোর গৃহীত প্রস্তাবনার প্রতি ইসরাইল পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর নির্ধারিত সীমানা অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসানের শর্তে ইসরাইলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পরিকল্পনায় ২০০২ সালে আরব পিস ইনিশিয়েটিভ স্বাক্ষরিত হয়।
সৌদি আরবের নেতৃত্বে এই উদ্যোগে আরব বিশ্বের দেশগুলো যুক্ত হয়। যদিও সম্প্রতি আরব বিশ্বের কিছু দেশ সেই উদ্যোগে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শুরু করেছে।
কাতারের আমীর বলেছেন, ইসরাইল আরব পিস ইনিশিয়েটিভের শর্তাবলী নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এসব শর্ত বিবেচনা না করে যে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হোক না কেন তাতে শান্তি আসবে না।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইল দখলদারিত্ব ও গাজা উপত্যকার অবরুদ্ধ দশার অবসান এবং সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়; বিশেষ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে নৈতিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন শেখ তামিম। একই সঙ্গে দখলদারি নীতি থেকে ইসরাইলকে বেরিয়ে এসে পারস্পরিক আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে শান্তি আলোচনা সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির পর শিগগিরই আরব বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।