বিলুপ্ত ছিটমহলে প্রথম বিজয়ের আনন্দ
আপডেট: ২০১৫-১২-১৬ ২০:২১:০৮
দীর্ঘ ৬৮ বছরের বন্দিদশা থেকে মুক্তির পর প্রথমবারের মত ৪৪তম মহান বিজয় দিবস পালন করল সদ্য বিলুপ্ত লালমনিরহাটের অভ্যন্তরের ৫৯টি ছিটমহলের নতুন বাংলাদেশিরা।
বুধবার সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে লালমনিরহাট সদর উপজেলার ভিতরকুটি বাঁশপচাই ঈদগাঁ মাঠে প্রতীকী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে তারা।
শ্রদ্ধাঞ্জালি অর্পণের পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবাই লাইনে সুন্দর ভাবে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। এরপর ঢাকঢোল পিটিয়ে নেচে গেয়ে বিজয় দিবসের র্যালিতে যোগ দেন অবালবৃদ্ধবণিতা। র্যালি শেষে ওই ঈদগাঁ মাঠে মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সদ্যবিলুপ্ত ১৫২ নম্বর ভিতরকুটি (বাঁশপচাই) ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সভাপতি হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে মহান বিজয়ের ৪৪ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- কবি সাহিত্যিক ফেরদৌসি বেগম বিউটি, বিলুপ্ত ভিতরকুটি ছিটের স্নাতকের ছাত্রী হাফেজা খাতুন ও রিনা খাতুন। আলোচনা সভা শেষে প্রীতিভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে, লালমনিরহাট স্মৃতিসৌধে রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদদের স্মরণে ৩১ বার তোপধ্বনি ও পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবসের সূচনা হয়। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম ও জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান ও আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।