রাজশাহীর প্রাকৃতিক হিমাগারের উন্নয়নে নতুন প্রকল্প
প্রকাশ: ২০১৫-১২-১৯ ১৫:২৪:১৫
রাজশাহীর প্রাকৃতিক শস্য সংরক্ষণাগারের মানোন্নয়নের জন্য নতুন গবেষণা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শাক-সবজির পাশাপাশি আলু, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ইত্যাদির পাশাপাশি টমেটো, গাঁজর, আম ইত্যাদি শস্য কোনো ধরনের রাসায়নিক ছাড়াই ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে বলে জানিয়েছেন শস্য সংরক্ষণাগারের প্রতিষ্ঠাতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন ।
শনিবার বেলা ১০টায় নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকায় প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পের অধীনে সংরক্ষণাগারে ইথিলিন ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়ায় আম ৩ মাস, গাঁজর ৬ মাস, টমেটো ৩ মাস সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। প্রকল্পের অধীনে ২১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৮ ফুট প্রস্থের একটি হিমাগার তৈরি করা হবে। যার ভেতরে আলাদা আলাদা স্টোর রুম থাকবে। যেখানে তিন, পাঁচ ও আট টন পরিমাণ ফলমূল-শাকসব্জি রেখে বিভিন্ন তাপমাত্রায় গবেষণার কাজ করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্পটি সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে পারলে কম খরচে প্রাকৃতিক শস্য সংরক্ষণের সম্ভাবনার দ্বার আরও প্রসারিত হবে। সাধারণ কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল যাতে স্বল্প খরচে ফসল সংরক্ষণ করতে পারেন সেদিকটি বিবেচনায় রেখেই এই গবেষণা প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেয়া হবে। আল-আরাফার আর্থিক সহায়তায় ২০ লাখ ব্যয়ে ৯০ দিনের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ সম্পন্ন করা হবে।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী তৌহিদ-উল-আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবেদ আহমদ খান, রাবির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম রফিউল ইসলাম।
অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন ২০১৪ সালের ৫ ডিসেম্বর শাক-সবজি ও ফলমূল সংরক্ষণে রাজশাহীতে প্রথম ‘প্রাকৃতিক হিমাগার’ প্রতিষ্ঠা করেন। নতুন প্রযুক্তির এই হিমাগার শুধু রাজশাহী নয় সারাদেশের কৃষকদের কম খরচে পণ্য সংরক্ষণের সম্ভবনা তৈরি করে।
সানবিডি/ঢাকা/হৃদয়/এসএস