বরফ গলার খবর বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরেই দিচ্ছেন তবুও মানুষের ঘুম ভাঙেনি

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-১০-১৫ ১৭:৪০:০০


জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর দুই শীতলতম অংশেই উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরুতে বরফ গলার খবর বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরেই দিচ্ছেন তবুও মানুষের ঘুম ভাঙেনি।

ফলে বাড়তি দূষণে সেই বরফ গলার পরিমাণ বাড়ছে বৈ কমছে না। মেরু অঞ্চলের প্রাণীদের জীবন ধারণ একান্তই অসম্ভব হয়ে পড়ছে। বিপদ রয়েছে মানুষেরও। অনেকেই হয়ত জানেন না বরফ গলার ফলে কি হচ্ছে!‌

সাধারণত দুই মেরুর বরফ গলে পাহাড়-পর্বত পেরিয়ে নদীতে এসে পড়ে। সেই নদী জলবে পরে সাগরে। ফলে মেরুর বরফ গলে যদি প্রচুর পরিমাণে জলের সৃষ্টি হয় তাহলে আরও বেশি করে জল নদীর থেকে সমুদ্রে গিয়ে পড়তে পারে। তার ফলে তৈরি হতে পারে জলোচ্ছ্বাস এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি। আন্তর্জাতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই আবহাওয়া পরিবর্তনের ঘটনা যত বাড়তে থাকবে ততই সমুদ্রতল তার উচ্চতা বাড়াতে থাকবে। বাড়তে থাকবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড।

এছাড়াও গ্রিনল্যান্ডও দ্রুত বরফের পরিমাণ হারাচ্ছে। এর ফল কি হতে পারে?‌ আগামী ৮০ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্রতল বা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে পারে এক থেকে চার ফুট।

আর সমুদ্রতলের উচ্চতা বাড়ার ফলে বহু অংশে বন্যা হতে পারে, জলে ভেসে যেতে পারে বহু বড় বড় সমুদ্র উপকূলবর্তী শহর, তৈরি হতে পারে সাগরে ঘূর্ণিঝড়, অত্যধিক মাত্রায় ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া সাগরতলের উষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম একটা কারণ। আর সে কারণেই মার্কিন উপকূল হোক বঙ্গোপসাগর, একের পর এক ঘূর্ণিঝড় মানুষকে দেখতে হচ্ছে। সূত্র- নিউজ এইটিন

সানবিডি/নাজমুল/০৫:৩৯/১৫.১০.২০২০