‘দেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর চক্রান্ত চলছে’

আপডেট: ২০১৫-১২-১৯ ১৮:১৭:১১


amir-hossain-amuবাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর চক্রান্ত এখনো অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে যে অপশক্তি বাংলাদেশের উন্নয়নের চাকাকে পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিল, একই অপশক্তি এখনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অপশক্তির গণতন্ত্র হচ্ছে পেট্রোলবোমা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করা। গণতন্ত্রের নামে যারা এ ধরনের গণহত্যা চালায়, একাত্তরের গণহত্যাকারীদের মতো তাদেরও বিচার হওয়া উচিত।’

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। মহান বিজয়ের মাসে শহীদদের স্মরণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ.কে. আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মনি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ও প্রাক্তন সচিব বিএমএম মোজহারুল হক, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক ও তথ্য) শ্রী রাজেশ উইকি ও মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী বক্তব্য রাখেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একাত্তরে বাংলাদেশের হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানসহ সকল ধর্মাবলম্বী জনগণ এবং ভারতীয় সেনাদের সম্মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার শুধু এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়নি, পশ্চিমা হানাদার বাহিনীকে বিতাড়নের জন্য অস্ত্র ও প্রশিক্ষণসহ সর্বাত্মক সহায়তা দিয়েছে। এ সময় ভারতের সাধারণ জনগণ শরণার্থী বাঙালিকে নিজেদের অন্ন ভাগ করে খাইয়েছে।’

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান মৈত্রীত্বের বন্ধন রক্ত ও আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে সূচিত হয়েছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ বাঙালি শহীদের পাশাপাশি এগার হাজার ভারতীয় সৈন্য রক্ত ও জীবন উৎসর্গ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং ভারতীয় সেনাদের আত্মত্যাগকে বাংলাদেশের জনগণ চিরকাল গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখবে।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে মৈত্রী সমিতি গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক লেনদেন বৃদ্ধি, শিল্পখাতে প্রযুক্তি হস্তান্তর, উন্নয়নধর্মী তথ্য বিনিময় এবং অভিন্ন ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জোরদার হচ্ছে। রক্তের মাধ্যমে সূচিত বন্ধন অব্যাহত রেখে দুদেশের জনগণের কল্যাণে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দেন তারা। পরে মন্ত্রী রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।