মানবসৃষ্ট ফাঁদে কারো মৃত্যু না হোক
আপডেট: ২০১৫-১২-১৯ ১৯:২৭:২৮
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, মানবসৃষ্ট দুর্যোগে মৃত্যু আমরা দেখতে চাই না। বিশ্বের সব মানুষের মতো আমি মানুষের স্বাভাবিক মৃত্য প্রত্যাশা করি।
আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্বব্যাংক ও জাইকার অর্থায়নে বাংলাদেশে ‘আরবান রিসাইলেন্স শীর্ষক আরবান বিল্ডিং সেফটি প্রজেক্ট ও আরবান রিসাইলেন্স প্রজেক্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামে-গঞ্জেও ভবন নির্মাণ যথাযথভাবে হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে – ভবন নির্মাণে সরকার প্রণীত নীতিমালা মেনে সবাইকে ভবন নির্মাণ করতে হবে। আমরা আর কোনো রানা প্লাজা দেখতে চাই না। বর্তমান সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, মানবসৃষ্ট অনাচারে পৃথিবী আজ কঠিন বিপর্যয়ের মুখোমুখি। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে আজ এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এরই প্রভাবে পৃথিবীর অনেক অঞ্চর পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে । বাংলাদেশের সিডর আক্রান্ত এলাকা আজও স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসেনি। বলা হচ্ছে ইতালির একটি শহর পানির ওপর ভাসমান। ২০৩০ সালের মধ্যে ত্রিশ ইঞ্চি পরিমাণ পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে হিটওয়েভে মারা যাচ্ছে অগণিত মানুষ।
তিনি বলেন, গত একশত বছর আগেও তা পরিলক্ষিত হয়নি। গত ছয় মাসে ভারত ও পাকিস্তানে কয়েক হাজার মানুষ হিট ওয়েভে প্রাণ হারিয়েছেন। আমেরিকায় ১৯৮০ সালে ১০ হাজার, ৮৮ সালে ১৭ হাজার, ইংল্যান্ডে ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালে দশ বছরে ৪০ হাজার, ২০১০ সালে রাশিয়ায় পাঁচ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এর ভিসি প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, জাইকার সিনিয়র প্রতিনিধি হিরুউকি তমিতা, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপণা বিষয়ক বিশেজ্ঞ মারু এস ফর্নি এবং জাইকার চিপ রিপ্রেসেনটেটিভ মিকিও হাতাইডা প্রমুখ।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ